ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গার পরিচিত মুখ বাদল পাগল আর নেই

আলমডাঙ্গা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গার পরিচিত মুখ বাদল পাগল আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নানা রোগে ভুগছিলেন। গতকাল সোমবার বিকেলে তিনি মারা গেছেন। মৃত বাদলের বড় ভাই জার্মান প্রবাসী রমজান আলী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার বাবা জিন্নাহ খান যুদ্ধকালীন পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে নিহত হন। বাদল নিজেও যুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতে ট্রেনিংয়ে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। কিন্তু বয়স কম থাকায় তাকে ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের তিনি সহযোগিতা করেছেন বলে জানা যায়। বাদল দীর্ঘ বছর ধরে মস্তিস্ক বিকৃতিতে ভুগছিলেন। দেশে আপন-স্বজন বলতে কেউ ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের বারান্দায় বসবাস করতেন।

গতকাল রাত ৯টায় জানাযা শেষে আলমডাঙ্গা দারুস সালাম কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়েছে। জানাজায় অংশ নেন আলমডাঙ্গা বাড়াদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান, প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মণ্টু, সাধারণ সম্পাদক খ. হামিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী মাস্টার, বিষ্কুট মিয়া, আব্দুস সামাদ, মুকুল মল্লিক, খন্দকার আসাদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার জাফর জুয়েল, হাসিবুল ইসলাম, খন্দকার উজ্জল প্রমুখ। তাঁর ভাই যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা রমজান আলী খান জার্মান থেকে টেলিফোনে তাঁর ভাইয়ের জন্যে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গার পরিচিত মুখ বাদল পাগল আর নেই

আপলোড টাইম : ০৭:৫৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২

আলমডাঙ্গার পরিচিত মুখ বাদল পাগল আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নানা রোগে ভুগছিলেন। গতকাল সোমবার বিকেলে তিনি মারা গেছেন। মৃত বাদলের বড় ভাই জার্মান প্রবাসী রমজান আলী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার বাবা জিন্নাহ খান যুদ্ধকালীন পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে নিহত হন। বাদল নিজেও যুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতে ট্রেনিংয়ে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। কিন্তু বয়স কম থাকায় তাকে ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের তিনি সহযোগিতা করেছেন বলে জানা যায়। বাদল দীর্ঘ বছর ধরে মস্তিস্ক বিকৃতিতে ভুগছিলেন। দেশে আপন-স্বজন বলতে কেউ ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের বারান্দায় বসবাস করতেন।

গতকাল রাত ৯টায় জানাযা শেষে আলমডাঙ্গা দারুস সালাম কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়েছে। জানাজায় অংশ নেন আলমডাঙ্গা বাড়াদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান, প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মণ্টু, সাধারণ সম্পাদক খ. হামিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী মাস্টার, বিষ্কুট মিয়া, আব্দুস সামাদ, মুকুল মল্লিক, খন্দকার আসাদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার জাফর জুয়েল, হাসিবুল ইসলাম, খন্দকার উজ্জল প্রমুখ। তাঁর ভাই যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা রমজান আলী খান জার্মান থেকে টেলিফোনে তাঁর ভাইয়ের জন্যে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।