ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গার কুমার নদের বাঁধ অপসারণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গার কুমার নদে প্রায় তিন কিলোমিটার বাঁধ অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের হাউসপুর থেকে বকসিপুর ব্রিজ পর্যন্ত দখলের কবলে পড়া এ নদীর বাঁধ অপসারণ করা হয়। বাঁধ অপসারণের পরেই জিকে প্রকল্পের পানি কুমার নদে ছেড়ে উন্মূক্ত করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। দীর্ঘদিন পর উন্মূক্ত হলেও খুশি স্থানীয়রা।

জানা গেছে, গতকাল বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুজ্জামান আঁখি, জেলা মৎস্য প্রকৌশলী ও চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে জলাশয় উন্মুক্ত করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা অংশে একটি মাথাভাঙ্গা নদী এবং দুটি কুমার নদ ও ভাটুই নদ। বর্তমানে মাথাভাঙ্গা নদী জলস্রোত অব্যাহত থাকলেও অপর নদ দুটি প্রায় মৃত। দখল ভরাটের কবলে নাব্যতা হারিয়েছে অনেক আগেই। খননের অভাবে নদ দুটি খালে পরিণত হয়েছে। বিগত দিনে এ দুটি নদ জলস্রোতের কারণে নৌকা ও ছোট-বড় পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করত। দেশীয় মাছের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হতো এ নদ থেকে। বর্তমানে নদী শাসনের অভাবে ও ক্ষমতাসীনদের দখলের কারণে নদটি আজ বিলীন। আলমডাঙ্গা সীমানায় প্রায় ৩৩ কিলোমিটার কুমার নদ।

বকসিপুর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি আব্দুর রহিম বক্স বলেন, কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে এ কুমার নদটি। এ নদটির উৎপত্তি স্থল হাটবোয়ালিয়ার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে। যা মিলেছে চিত্রা নদীতে। বর্তমানে মাথাভাঙ্গা নদী আজও ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। কিন্তু কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাচ্ছে আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী কুমার নদ। এদিকে, দীর্ঘদিন পর হলেও বাঁধ অপসারণের মাধ্যমে আবারো দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপাদনের পাশাপাশি পুনরায় নদকে খনন করলে আবারো সেই জলস্রোত ধারার কুমার নদ তার আপন গতি ফিরে পাবে বলে মনে করেন এ অঞ্চলের মানুষ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গার কুমার নদের বাঁধ অপসারণ

আপলোড টাইম : ১০:১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গার কুমার নদে প্রায় তিন কিলোমিটার বাঁধ অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের হাউসপুর থেকে বকসিপুর ব্রিজ পর্যন্ত দখলের কবলে পড়া এ নদীর বাঁধ অপসারণ করা হয়। বাঁধ অপসারণের পরেই জিকে প্রকল্পের পানি কুমার নদে ছেড়ে উন্মূক্ত করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। দীর্ঘদিন পর উন্মূক্ত হলেও খুশি স্থানীয়রা।

জানা গেছে, গতকাল বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুজ্জামান আঁখি, জেলা মৎস্য প্রকৌশলী ও চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে জলাশয় উন্মুক্ত করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা অংশে একটি মাথাভাঙ্গা নদী এবং দুটি কুমার নদ ও ভাটুই নদ। বর্তমানে মাথাভাঙ্গা নদী জলস্রোত অব্যাহত থাকলেও অপর নদ দুটি প্রায় মৃত। দখল ভরাটের কবলে নাব্যতা হারিয়েছে অনেক আগেই। খননের অভাবে নদ দুটি খালে পরিণত হয়েছে। বিগত দিনে এ দুটি নদ জলস্রোতের কারণে নৌকা ও ছোট-বড় পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করত। দেশীয় মাছের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হতো এ নদ থেকে। বর্তমানে নদী শাসনের অভাবে ও ক্ষমতাসীনদের দখলের কারণে নদটি আজ বিলীন। আলমডাঙ্গা সীমানায় প্রায় ৩৩ কিলোমিটার কুমার নদ।

বকসিপুর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি আব্দুর রহিম বক্স বলেন, কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে এ কুমার নদটি। এ নদটির উৎপত্তি স্থল হাটবোয়ালিয়ার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে। যা মিলেছে চিত্রা নদীতে। বর্তমানে মাথাভাঙ্গা নদী আজও ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। কিন্তু কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাচ্ছে আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী কুমার নদ। এদিকে, দীর্ঘদিন পর হলেও বাঁধ অপসারণের মাধ্যমে আবারো দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপাদনের পাশাপাশি পুনরায় নদকে খনন করলে আবারো সেই জলস্রোত ধারার কুমার নদ তার আপন গতি ফিরে পাবে বলে মনে করেন এ অঞ্চলের মানুষ।