ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
মেরেপুরের গাংনীতে জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ

আপন বোন ও ভাবীকে কুপিয়ে হত্যা

ঘটনার দু’ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারী মহিবুল গ্রেপ্তার

গাংনী অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৩:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের গাংনীতে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন বোন জোসনা খাতুন (৫২) এবং ভাইয়ের স্ত্রী জাকিউল ইলমাকে (৪২) কুপিয়ে হত্যা করেছেন মহিবুল ইসলাম ওহিদ (৪৮)। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার শানঘাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন মহিবুলের ভাই জাহিদ ও বোন শামীমা খাতুন (৩২)। তাদেরকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। নিহতদের মধ্যে জাকিউল ইলমা গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। ঘাতক মহিবুল ইসলাম ওহিদ শানঘাট পল্লী উন্নয়ন সংস্থা নামের একটি এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহিবুল ইসলাম ওহিদের সাথে তার বড় ভাই জাহিদ হোসেন এবং তিন বোনের মধ্যে পৈত্রিক জমি মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। মহিবুল ইসলাম একাই প্রায় দেড় একর জমির পুকুর দখল করে মাছ চাষ করে আসছিলেন। জমির ভাগ-বণ্টন নিয়ে আলোচনা করতে শনিবার সকালের দিকে পরিবারটির সদস্যরা একত্রিত হন। আলোচনা চলাকালীন হঠাৎ করে মহিবুল ধারালো রামদা দিয়ে হামলা চালান। এতে ঘটনাস্থলেই জোসনা খাতুন ও জাকিউল ইলমা নিহত হন। এসময় হত্যাকারী মহিবুল ইসলাম ওহিদ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় নিহত জোসনা খাতুনের স্বামী কুদরত-ই-হাফিজ জানান, ‘ভাই-বোনদের মধ্যে জমি ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। আলোচনার সময় মহিবুল ধারালো রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।’
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে দুপুরেই গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রীতম সাহা, গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম, সেনাবাহিনী, র‌্যাবসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন।
নিহতের প্রতিবেশীরা জানান, জমিজমার ভাগাভাগি নিয়ে মহিবুলের সাথে পরিবারের বাকিদের দ্বন্দ্ব ছিল। এ নিয়ে এর আগে একবার দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছিল।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনার পর মহিবুল পালিয়ে মেহেরপুর শহরের একটি বাড়িতে আত্মগোপন করেন। তবে দুই ঘণ্টার মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওসি জানান, হত্যাকাণ্ডের সময় প্রতিরোধের শিকার হয়ে মহিবুলের মাথায় আঘাত লাগে। জখম গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশি পাহারায় তার চিকিৎসা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেরেপুরের গাংনীতে জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ

আপন বোন ও ভাবীকে কুপিয়ে হত্যা

ঘটনার দু’ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারী মহিবুল গ্রেপ্তার

আপলোড টাইম : ০৯:৪৩:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

মেহেরপুরের গাংনীতে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন বোন জোসনা খাতুন (৫২) এবং ভাইয়ের স্ত্রী জাকিউল ইলমাকে (৪২) কুপিয়ে হত্যা করেছেন মহিবুল ইসলাম ওহিদ (৪৮)। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার শানঘাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন মহিবুলের ভাই জাহিদ ও বোন শামীমা খাতুন (৩২)। তাদেরকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। নিহতদের মধ্যে জাকিউল ইলমা গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। ঘাতক মহিবুল ইসলাম ওহিদ শানঘাট পল্লী উন্নয়ন সংস্থা নামের একটি এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহিবুল ইসলাম ওহিদের সাথে তার বড় ভাই জাহিদ হোসেন এবং তিন বোনের মধ্যে পৈত্রিক জমি মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। মহিবুল ইসলাম একাই প্রায় দেড় একর জমির পুকুর দখল করে মাছ চাষ করে আসছিলেন। জমির ভাগ-বণ্টন নিয়ে আলোচনা করতে শনিবার সকালের দিকে পরিবারটির সদস্যরা একত্রিত হন। আলোচনা চলাকালীন হঠাৎ করে মহিবুল ধারালো রামদা দিয়ে হামলা চালান। এতে ঘটনাস্থলেই জোসনা খাতুন ও জাকিউল ইলমা নিহত হন। এসময় হত্যাকারী মহিবুল ইসলাম ওহিদ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় নিহত জোসনা খাতুনের স্বামী কুদরত-ই-হাফিজ জানান, ‘ভাই-বোনদের মধ্যে জমি ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। আলোচনার সময় মহিবুল ধারালো রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।’
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে দুপুরেই গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রীতম সাহা, গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম, সেনাবাহিনী, র‌্যাবসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন।
নিহতের প্রতিবেশীরা জানান, জমিজমার ভাগাভাগি নিয়ে মহিবুলের সাথে পরিবারের বাকিদের দ্বন্দ্ব ছিল। এ নিয়ে এর আগে একবার দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছিল।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনার পর মহিবুল পালিয়ে মেহেরপুর শহরের একটি বাড়িতে আত্মগোপন করেন। তবে দুই ঘণ্টার মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওসি জানান, হত্যাকাণ্ডের সময় প্রতিরোধের শিকার হয়ে মহিবুলের মাথায় আঘাত লাগে। জখম গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশি পাহারায় তার চিকিৎসা চলছে।