ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

আখের দাম ১৪০ থেকে বাড়িয়ে ১৮০ টাকা নির্ধারণ, আখ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
সরকার আখের দাম বৃদ্ধি করায় দর্শনা এলাকার প্রান্তিক চাষীরা আখচাষে ঝুঁকে পড়েছেন। ২০২২-২৩ রোপন মৌসুমে ৭ হাজার একর জমিতে আখচাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ মাঠে নেমেছে। চিনিকলের কৃষি বিভাগ জানায়, ১ সেপ্টেম্বর রোপন মৌসুম শুরুর পর স্ব স্ব এলাকার চাষীরা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে নিজ নিজ জমিতে আখ রোপন করতে দেখা গেছে। মৌসুমী বৃষ্টির কারণে গত ৪-৫ দিন আখ রোপন সম্ভব না হলেও গত এক সপ্তাহের ব্যাবধানে প্রায় পৌনে দু’শ বিঘা জমিতে আখ রোপন ও বীজতলা করা হয়েছে।

মিল জোন এলাকার বড় আখচাষী মো. তৈয়ব আলী জানান, ‘গত বছর এক মণ (৪০ কেজি) আখের দাম ছিল ১৪০ টাকা এবার ১৮০ টাকা। এ জন্য আমি এবার ২৫ থেকে ৩০ বিঘা জমিতে ভালো ও উন্নত জাতের আখচাষ করব।’ মিলের জি এম (কৃষি) আশরাফুল আলম ভুঁইয়া জানান, এ বছর চিনিকলের খামারে ১ হাজার ৫৫৯ ও চাষীর জমিতে ৫ হাজার ৫৪১ একরসহ মোট ৭ হাজার একর জমিতে আখচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার দেশের মানুষ ও সাধারণ চাষীদের স্বার্থে এক মণ আখের দাম মিলগেট এলাকায় ১৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮০ টাকা, বহিঃকেন্দ্রে (সেন্টারে) ১৩৭ থেকে ১৭৬ টাকা করেছে। তাছাড়া আসন্ন মাড়াই মৌসুম চালুর পর জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ থেকে ১৫ দিন পরপর কুইন্টাল প্রতি ৫ টাকা হারে ৫ বার দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। যদি ফাউন্ডেশন বা রেজিস্টার বীজ খেত হয়, তাহলে মিলে আখ সরবরাহ যোগ্য আখের চাইতে বীজ আখ কুইন্টাল প্রতি ৮ টাকার স্থলে ১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

তিনি জানান, গত বছর কেরুর নিজস্ব জমিতে দণ্ডায়মান আখ ছিল ১ হাজার ৫০ একর, চাষীর দণ্ডায়মান আখ ছিল ৪ হাজার ২৩০ একর। যা গত বছরের চাইতে এ বছর প্রায় ২ হাজার একর জমিতে বেশি আখচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মিলের আখচাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আ. হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক আ. বারি বলেন, আখের মূল্য কিছুটা হলেও বেড়েছে, যার জন্য আখচাষ বাড়বে। তবে চিনির বিক্রয় মূল্য বাড়িয়ে আখের মূল্য আরো একটু বাড়ানো দরকার। জি এম (প্রশাসন) শেখ শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমরা উন্নত জাতের ও চিনি সমৃদ্ধ আখ চাষের ওপর জোর দিয়েছি। যাতে করে চাষী ও মিল উভয়ই লাভবান হতে পারে।’
চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ইতঃমধ্যে আখের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আখচাষীদের মধ্যে বেশ সাড়া পড়েছে ও আখের বীজতলা তৈরি প্রস্তুত বেড়েছে। আশা করা হচ্ছে এ বছর বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন-এর নির্ধারিত টার্গেট পূরণ করতে সক্ষম হবো।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আখের দাম ১৪০ থেকে বাড়িয়ে ১৮০ টাকা নির্ধারণ, আখ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

আপলোড টাইম : ০৮:৫৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন:
সরকার আখের দাম বৃদ্ধি করায় দর্শনা এলাকার প্রান্তিক চাষীরা আখচাষে ঝুঁকে পড়েছেন। ২০২২-২৩ রোপন মৌসুমে ৭ হাজার একর জমিতে আখচাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ মাঠে নেমেছে। চিনিকলের কৃষি বিভাগ জানায়, ১ সেপ্টেম্বর রোপন মৌসুম শুরুর পর স্ব স্ব এলাকার চাষীরা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে নিজ নিজ জমিতে আখ রোপন করতে দেখা গেছে। মৌসুমী বৃষ্টির কারণে গত ৪-৫ দিন আখ রোপন সম্ভব না হলেও গত এক সপ্তাহের ব্যাবধানে প্রায় পৌনে দু’শ বিঘা জমিতে আখ রোপন ও বীজতলা করা হয়েছে।

মিল জোন এলাকার বড় আখচাষী মো. তৈয়ব আলী জানান, ‘গত বছর এক মণ (৪০ কেজি) আখের দাম ছিল ১৪০ টাকা এবার ১৮০ টাকা। এ জন্য আমি এবার ২৫ থেকে ৩০ বিঘা জমিতে ভালো ও উন্নত জাতের আখচাষ করব।’ মিলের জি এম (কৃষি) আশরাফুল আলম ভুঁইয়া জানান, এ বছর চিনিকলের খামারে ১ হাজার ৫৫৯ ও চাষীর জমিতে ৫ হাজার ৫৪১ একরসহ মোট ৭ হাজার একর জমিতে আখচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার দেশের মানুষ ও সাধারণ চাষীদের স্বার্থে এক মণ আখের দাম মিলগেট এলাকায় ১৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮০ টাকা, বহিঃকেন্দ্রে (সেন্টারে) ১৩৭ থেকে ১৭৬ টাকা করেছে। তাছাড়া আসন্ন মাড়াই মৌসুম চালুর পর জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ থেকে ১৫ দিন পরপর কুইন্টাল প্রতি ৫ টাকা হারে ৫ বার দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। যদি ফাউন্ডেশন বা রেজিস্টার বীজ খেত হয়, তাহলে মিলে আখ সরবরাহ যোগ্য আখের চাইতে বীজ আখ কুইন্টাল প্রতি ৮ টাকার স্থলে ১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

তিনি জানান, গত বছর কেরুর নিজস্ব জমিতে দণ্ডায়মান আখ ছিল ১ হাজার ৫০ একর, চাষীর দণ্ডায়মান আখ ছিল ৪ হাজার ২৩০ একর। যা গত বছরের চাইতে এ বছর প্রায় ২ হাজার একর জমিতে বেশি আখচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মিলের আখচাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আ. হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক আ. বারি বলেন, আখের মূল্য কিছুটা হলেও বেড়েছে, যার জন্য আখচাষ বাড়বে। তবে চিনির বিক্রয় মূল্য বাড়িয়ে আখের মূল্য আরো একটু বাড়ানো দরকার। জি এম (প্রশাসন) শেখ শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমরা উন্নত জাতের ও চিনি সমৃদ্ধ আখ চাষের ওপর জোর দিয়েছি। যাতে করে চাষী ও মিল উভয়ই লাভবান হতে পারে।’
চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ইতঃমধ্যে আখের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আখচাষীদের মধ্যে বেশ সাড়া পড়েছে ও আখের বীজতলা তৈরি প্রস্তুত বেড়েছে। আশা করা হচ্ছে এ বছর বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন-এর নির্ধারিত টার্গেট পূরণ করতে সক্ষম হবো।