ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

অপরাধ প্রবণতা রুখতে স্থানীয়দেরও হতে হবে কর্তব্যপরায়ণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এসময় বণিক শ্রেণির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ও বাসস্থানসহ আশেপাশে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার প্রক্রিয়া যেহেতু চলমান, সেহেতু আমাদের সকলকে সবসময় সর্বাত্মক সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। অপরাধ প্রবণতা হ্রাসে স্থানীয়দের হতে হবে কর্তব্যপরায়ন।
এ সভায় জানানো হয়, তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সারা দেশের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা প্রথম স্থান অধিকার করেছে। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজ সকালেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাত থেকে প্রথম হওয়ার সনদসহ সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেছে। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার নাটুদহে অবস্থিত ডিসি ইকো পার্কে বনায়নে সারা দেশের মধ্যে এবার দ্বিতীয় হয়েছে। এ তথ্য জেলা প্রশাসক উপস্থিত সকলকে জানালে সকলেই করতালি দেন এবং প্রশংসা করেন। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল¬াহ আল মামুন বক্তব্যে বলেন, ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার সকল প্রকারের অপরাধীসহ অপরাধপ্রবণ মানসিকতার সকলের ডাটাবেজ গড়ে তোলা হয়েছে। এখন থেকে কোনো এলাকার অপরাধী সম্পর্কে জানতে চাইলে কম্পিউটারে এক ক্লিকেই তা বেরিয়ে আসবে। এ তথ্য পেয়ে সভার সভাপতি জেলা প্রশাসকসহ উপস্থিত সকলে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের এ সফলতার জন্য করতালি দিয়ে পুলিশ সুপারকে প্রশংসা করেন।
মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাসহ নারী ও শিশু পাচারসহ বেশ ক’টি কমিটিরও সভা একই সাথে সম্পন্ন করা হয়। পুলিশ সুপার ছাড়াও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কবীর হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, ৬ বিজিবি’র সহকারী পরিচালক শেখ মো. ইমরান আলী বিজিবিএমএস, চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. বেলাল হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুালের বিশেষ পিপি অ্যাড. আবু তালেব, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, এপিপি অ্যাড. আকসিজুল ইসলাম রতন, সাবেক প্রচার উপ-সম্পাদক শওকত আলী, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, চেম্বার প্রতিনিধি নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার প্রমুখ।
বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহার আগে পশুহাটগুলোর দিকে বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। টাকার জাল নোট ও অজ্ঞানপার্টিসহ দস্যুতা রোধে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। আলমডাঙ্গার সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনার পর এলাকার সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ দেখে ডাকাত দল শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির দিনে নিজ নিজ নিরাপত্তার তাগিদে সিসি ক্যামেরা স্থাপন খুবই জরুরি।
সভায় সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান তাঁর বক্তব্যে বলেন, তীব্র গরমের পর বর্ষা আসন্ন। ডেঙ্গি বা ডেঙ্গু মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে প্রত্যকেরই নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ডেঙ্গি মশা যাতে জন্মাতে না পারে, সেদিকে বাড়তি নজর রাখা প্রয়োজন। ডেঙ্গি মশা মূলত ছোট খাটো পরিত্যাক্ত পাত্রে, ডাবের খোশা, ফুলগাছের টবে বা টায়ারে জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে ডিম ছাড়ে। মশার লার্ভা জন্মায়। বাড়ির ছাদ ও আঙিনার দিকে নজর বাড়িয়ে জমে থাকা পানি ফেলে দিলে ডেঙ্গু মশা জন্মাবে না। ওই রোগের প্রাদুর্ভাবও দেখা দেবে না। রোগটা কিন্তু ভয়ানক রোগ। ফলে সকলেই আগে থেকে সাবধান হোন।
চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জীবননগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সহ জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় গত সভার সিদ্ধান্তসমূহ উপস্থাপন করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার সাহিদুল আলম। সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান জেলায় বাল্যবিয়ে রোধে সকলকে আন্তরিক হওয়ার পুনরায় তাগিদ দিয়ে বলেন, সড়কে অটোচলাচলের শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সকল উপজেলা এ উদ্যোগ নেবে। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় যেসব রাস্তার জমি অবৈধভাবে দখলের কারণে সড়ক সঙ্কোচিত হয়েছে, সেই সকল স্থাপনা, সীমানা প্রাচীর ভেঙে অপসারণ করতে হবে। এ দায়িত্ব পৌরসভাকেই নিতে হবে। যত দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব, পৌর ট্রাক টার্মিনাল পূর্ণাঙ্গরূপে গড়ে তুলে জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কের ধারে ট্রাক রাখা ও ধোয়ার প্রবণতা রোধে শক্ত হাতে আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া বাস চালায় কীভাবে? বিষয়টির দিকে বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে নজর দিতে হবে। জেলা শহরে বেওয়ারিশভাবে যেসব গরু চরে বেড়ায়, তাদের মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মাইকিং করার পরও ওইসব গরু রাস্তায় দেখা গেলে তা ধরে প্রয়োজনে নিলামে বিক্রি করার ব্যবস্থা করতে হবে। শহরের ছোট বড় সড়কে বেওয়ারিশভাবে গরু চরে বেড়ানোর কারণে দুর্ঘটনা যেমন বাড়ছে, তেমনই পরিবেশও নোংড়া হচ্ছে। এটা হতে দেয়া যায় না।
চোরাচালান রোধে বাড়তি নজরদারির আহ্বান জানিয়ে সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক বলেন, পাচারমুখি স্বর্ণ উদ্ধার হচ্ছে। রাঘব বোয়ালেরা ধরা পড়ছে না। অবাক হলেও সত্য স্বর্ণ পাচার হচ্ছে, মাদক পাচার হয়ে আসছে। এতে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে হয়। মাদক সকল অপরাধের মূল। মাদক রেখে সুন্দর সমাজ গড়া যায় না। এলাকার সচেতন মহলকেও মাদক বিরোধী গণজাগরণ গড়ে তুলতে হবে। চোরাচালান রোধে সীমান্তবাসীকেও হতে হবে দায়িত্বশীল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

অপরাধ প্রবণতা রুখতে স্থানীয়দেরও হতে হবে কর্তব্যপরায়ণ

আপলোড টাইম : ০৮:০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এসময় বণিক শ্রেণির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ও বাসস্থানসহ আশেপাশে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার প্রক্রিয়া যেহেতু চলমান, সেহেতু আমাদের সকলকে সবসময় সর্বাত্মক সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। অপরাধ প্রবণতা হ্রাসে স্থানীয়দের হতে হবে কর্তব্যপরায়ন।
এ সভায় জানানো হয়, তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সারা দেশের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা প্রথম স্থান অধিকার করেছে। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজ সকালেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাত থেকে প্রথম হওয়ার সনদসহ সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেছে। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার নাটুদহে অবস্থিত ডিসি ইকো পার্কে বনায়নে সারা দেশের মধ্যে এবার দ্বিতীয় হয়েছে। এ তথ্য জেলা প্রশাসক উপস্থিত সকলকে জানালে সকলেই করতালি দেন এবং প্রশংসা করেন। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল¬াহ আল মামুন বক্তব্যে বলেন, ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার সকল প্রকারের অপরাধীসহ অপরাধপ্রবণ মানসিকতার সকলের ডাটাবেজ গড়ে তোলা হয়েছে। এখন থেকে কোনো এলাকার অপরাধী সম্পর্কে জানতে চাইলে কম্পিউটারে এক ক্লিকেই তা বেরিয়ে আসবে। এ তথ্য পেয়ে সভার সভাপতি জেলা প্রশাসকসহ উপস্থিত সকলে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের এ সফলতার জন্য করতালি দিয়ে পুলিশ সুপারকে প্রশংসা করেন।
মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাসহ নারী ও শিশু পাচারসহ বেশ ক’টি কমিটিরও সভা একই সাথে সম্পন্ন করা হয়। পুলিশ সুপার ছাড়াও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কবীর হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, ৬ বিজিবি’র সহকারী পরিচালক শেখ মো. ইমরান আলী বিজিবিএমএস, চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. বেলাল হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুালের বিশেষ পিপি অ্যাড. আবু তালেব, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, এপিপি অ্যাড. আকসিজুল ইসলাম রতন, সাবেক প্রচার উপ-সম্পাদক শওকত আলী, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, চেম্বার প্রতিনিধি নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার প্রমুখ।
বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহার আগে পশুহাটগুলোর দিকে বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। টাকার জাল নোট ও অজ্ঞানপার্টিসহ দস্যুতা রোধে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। আলমডাঙ্গার সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনার পর এলাকার সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ দেখে ডাকাত দল শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির দিনে নিজ নিজ নিরাপত্তার তাগিদে সিসি ক্যামেরা স্থাপন খুবই জরুরি।
সভায় সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান তাঁর বক্তব্যে বলেন, তীব্র গরমের পর বর্ষা আসন্ন। ডেঙ্গি বা ডেঙ্গু মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে প্রত্যকেরই নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ডেঙ্গি মশা যাতে জন্মাতে না পারে, সেদিকে বাড়তি নজর রাখা প্রয়োজন। ডেঙ্গি মশা মূলত ছোট খাটো পরিত্যাক্ত পাত্রে, ডাবের খোশা, ফুলগাছের টবে বা টায়ারে জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে ডিম ছাড়ে। মশার লার্ভা জন্মায়। বাড়ির ছাদ ও আঙিনার দিকে নজর বাড়িয়ে জমে থাকা পানি ফেলে দিলে ডেঙ্গু মশা জন্মাবে না। ওই রোগের প্রাদুর্ভাবও দেখা দেবে না। রোগটা কিন্তু ভয়ানক রোগ। ফলে সকলেই আগে থেকে সাবধান হোন।
চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জীবননগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সহ জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় গত সভার সিদ্ধান্তসমূহ উপস্থাপন করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার সাহিদুল আলম। সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান জেলায় বাল্যবিয়ে রোধে সকলকে আন্তরিক হওয়ার পুনরায় তাগিদ দিয়ে বলেন, সড়কে অটোচলাচলের শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সকল উপজেলা এ উদ্যোগ নেবে। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় যেসব রাস্তার জমি অবৈধভাবে দখলের কারণে সড়ক সঙ্কোচিত হয়েছে, সেই সকল স্থাপনা, সীমানা প্রাচীর ভেঙে অপসারণ করতে হবে। এ দায়িত্ব পৌরসভাকেই নিতে হবে। যত দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব, পৌর ট্রাক টার্মিনাল পূর্ণাঙ্গরূপে গড়ে তুলে জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কের ধারে ট্রাক রাখা ও ধোয়ার প্রবণতা রোধে শক্ত হাতে আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া বাস চালায় কীভাবে? বিষয়টির দিকে বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে নজর দিতে হবে। জেলা শহরে বেওয়ারিশভাবে যেসব গরু চরে বেড়ায়, তাদের মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মাইকিং করার পরও ওইসব গরু রাস্তায় দেখা গেলে তা ধরে প্রয়োজনে নিলামে বিক্রি করার ব্যবস্থা করতে হবে। শহরের ছোট বড় সড়কে বেওয়ারিশভাবে গরু চরে বেড়ানোর কারণে দুর্ঘটনা যেমন বাড়ছে, তেমনই পরিবেশও নোংড়া হচ্ছে। এটা হতে দেয়া যায় না।
চোরাচালান রোধে বাড়তি নজরদারির আহ্বান জানিয়ে সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক বলেন, পাচারমুখি স্বর্ণ উদ্ধার হচ্ছে। রাঘব বোয়ালেরা ধরা পড়ছে না। অবাক হলেও সত্য স্বর্ণ পাচার হচ্ছে, মাদক পাচার হয়ে আসছে। এতে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে হয়। মাদক সকল অপরাধের মূল। মাদক রেখে সুন্দর সমাজ গড়া যায় না। এলাকার সচেতন মহলকেও মাদক বিরোধী গণজাগরণ গড়ে তুলতে হবে। চোরাচালান রোধে সীমান্তবাসীকেও হতে হবে দায়িত্বশীল।