চুয়াডাঙ্গা সদর ইউএনও’র উদ্যোগ : দৃশ্যমান হলো আরো একটি রঙিন স্কুল
- আপলোড তারিখঃ ০৮-০৪-২০১৮ ইং
শংকরচন্দ্র স. প্রা. বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের আশ্বাস জেলা প্রশাসকের
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্কুলটির চেহারায় পাল্টে গেছে; শিক্ষার্থীরাও খুশি। এবার দ্বিতল ভবন করে দেয়ার আশ্বাস দিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। গতকাল শনিবার বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গা সদরের শংকরচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রঙিন স্কুলে রূপান্তর, শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে মিড ডে মিল ও নানা উপকরণ বিতরণ পূর্বক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন তিনি। তিনি বলেন, ‘শিশুদের জন্য কিছু করতে পারাটা গর্বের বিষয়। আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ। তাদের শাসন করে চাপ দিয়ে নয়; আদর করে মানসিক বিকাশ ঘটাতে হবে। আমাদের এত লেখাপড়া দরকার নেই; প্রয়োজন ভালো শিক্ষার্থী। তাদের হেঁসে খেলে বেড়ে উঠতে দিতে হবে। ঝরে পড়া শিশুদের স্কুলমুখী করতে হবে। একই সাথে বাল্য বিবাহ রোধে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে।’ শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়াশীমুল বারী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুদ উজ জামান, বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন।
আলোচনা সভা শেষে বিদ্যালয়ের ১ম থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত দু’শতাধিক শিশু শিক্ষার্থীর হাতে টিফিন বক্স ও মিড ডে মিল তুলে দেয়া হয়। এ সময় চারটি বেবি স্লাইডার (রাউড) প্রদান করেন জেলা প্রশাসক।
ইউনিয়ন পরিষদের এলজিএসপি-৩ (পিবিজি) এর অর্থায়নে রঙিন স্কুল, নানা উপকরণ বিতরণ ও মিড ডে মিল বিতরণ কার্যক্রমের মূল উদ্যোক্তা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়াশীমুল বারী। এ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে জেলা সদরের রঙিন স্কুলের তালিকায় যুক্ত হলো আরো একটি স্কুল। এরআগে নেহালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে রঙিন স্কুলে রূপান্তর করা হয়। রং তুলির আচড় গোটা স্কুল জুড়ে। সবুজ রঙে আরো মোহিত করছে শিশুদের। কিবা ক্লাসরুম কিবা বাথরুম; সব খানেই রঙিন রঙে রাঙা। রঙিন রঙে রাঙানো রঙিন স্কুল প্রতিপাদ্যে এ প্রকল্পে ব্যয় করতে হয়েছে প্রায় দু’লক্ষ টাকা। বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনটির নাম দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভবন। অফিস কক্ষের নাম দেয়া হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, ক্লাসরুমের নাম পল্লীকবি জসীম উদ্দীন, বেগম সুফিয়া কামাল ও বেগম রোকেয়া কক্ষ। বিদ্যালয়ে স্থাপিত শহীদ মিনারটিতেও তুলের আচড় পড়েছে। চারটি টয়লেটে নানা রং লাগানোসহ শিক্ষণীয় চিকা লেখা হয়েছে। চারদিকের দেয়ালে প্রাকৃতিক দৃশ্য অনেকটা বাস্তবা দেখা প্রকৃতির মতই মনে হচ্ছে। সদর উপজেলার আরো বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চলছে; যা শিঘ্রই বাস্তবায়ন করা হবে।
কমেন্ট বক্স