সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

বড় পুকুর হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা

  • আপলোড তারিখঃ ৩০-০১-২০১৮ ইং
বড় পুকুর হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা
আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের সরকারী অর্পিত সম্পত্তির আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামে সরকারী অর্পিত সম্পত্তিতে থাকা বড় পুকুর নামের একটি জলাশয় জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেবার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতোপূর্বে কয়েকবার এমন চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে নতুন করে আবারো চক্রান্ত করা হচ্ছে। চক্রটি ওই সম্পত্তি ভূমি অফিস থেকে ক’দিন আগে খারিজ করার চেষ্টা করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তা বন্ধ রেখে তদন্ত শুরু করেছেন। গ্রামবাসী সরকারী এ সম্পত্তি রক্ষার জন্য প্রশাসনের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। জানা গেছে, আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামে ৫ একর ২০শতক জমির উপর একটি বড় জলাশয় রয়েছে। এ জমির প্রকৃত মালিক বহু আগে ভারতে চলে গেলে সরকারী অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে ঘোষিত হয়। বেলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু জানান, ৪৬ বছর ধরে সরকারী ওই পুকুর গ্রামের লোকজন লীজ নিয়ে মাছ চাষ করে তার লভ্যাংশ গ্রামের কয়েকটি মসজিদের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করে থাকে। সরকারী এ সম্পত্তি আনুমানিক ১৭/১৮ বছর আগে বেলগাছি গ্রামের সলেমান মন্ডল ও তকিম মন্ডল জাল দলিল তৈরী করে চুয়াডাঙ্গা সহকারী জজ আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলা দায়ের করে। মামলার পর সরকারের পক্ষ হয়ে ভারত থেকে জমির কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়। এসব কাগজ আদালতে দাখিল করার পর বিচারে সলেমান গংয়ের দলিল জাল বলে প্রমানিত হলে তারা মামলায় হেরে যান। পরে চুয়াডাঙ্গা জজ আদালতে আপিল করে সেখানে হেরে যান। সম্প্রতি এই গং নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সলেমানের ছেলে ফারুক জাল কাগজপত্র তৈরী করে আলমডাঙ্গা ভূমি অফিসে গিয়ে জমি খারিজের পায়তারা করছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর পর তিনি ওই ফাইল আটকিয়ে দেন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান জানান, ওই জমি খারিজের জন্য তারা একটি আবেদন ভূমি অফিসে দিয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পাবার পর তিনি খারিজ ফাইলের কার্যক্রম স্থগিত করে তদন্ত করছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসককেও অবগত করেছেন।


কমেন্ট বক্স
notebook

পানি খেতে গিয়ে বিদ্যুতের ফাঁদে যুবকের মৃত্যু