চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন স্থগিত
- আপলোড তারিখঃ ২৯-০১-২০১৮ ইং
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন ছয় মাস স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল রোববার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বিএম ইলিয়াস কচি। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মো. আজিজুল বাশার। চেম্বার অব কমার্সের পক্ষে শুনানি করেন প্রাক্তন বিচারপতি শরিফ উদ্দিন চাকলাদার। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে দেন।
আলাউদ্দীন হেলা স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির ২০১৮-২০২০ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠানে ঞৎধফব ঙৎমধহরুধঃরড়হ, ১৯৬১ এবং ঞৎধফব ঙৎমধহরুধঃরড়হ জঁষবং, ১৯৯৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষিত হওয়ায় মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। সূত্রে প্রকাশ চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির কতিপয় সদস্য আইনের বিধান লঙ্ঘন করে তিন এর অধিক মেয়াদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়। এরূপ পরিস্থিতি বিগত ২০১৩-২০১৫ মেয়াদের পরবর্তীতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করলে তা সাধারন ও সহযোগী সদস্যদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সংযুক্ত সদস্যদের পক্ষে মোঃ হাবিবুর রহমান লাভলু, মোঃ রাশেদুজ্জামান মালিক, মোঃ সাইফুল হাসান জোঃ টোকন, আসাবুল হক মালিক। ঋইঈঈও ট্রাইবুনালে মোঃ ইয়াকুব হোসেন মালিক, মোঃ মঞ্জুরুল আলম লার্জ, মোঃ শাহারীন হক মালিক, এ.কে.এম সালাউদ্দিন মিঠু, সালাউদ্দিন মোঃ মর্তুজা, এর বিরুদ্ধে মামলা নং-০২/২০১৫ দায়ের করলে ট্রাইবুনাল সালিশী মামলায় সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সমঝোতা মূলক রায় দেন। উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে মোঃ মঞ্জুরুল আলম লার্জ এবং এ.কে.এম সালাউদ্দিন মিঠু পিটিশনার হয়ে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে রীট পিটিশন নং-৫৩৯৯/২০১৫ দায়ের করেন। উক্ত রীট পিটিশন প্রাথমিক শুনানী অন্তে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং মাননীয় বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ রূল জারি করেন এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের অন্তর্বর্তী কালীন নিশেধাজ্ঞা প্রদান করেন। উক্ত রীট পিটিশন টি বর্তমানে শুনানীর জন্য আছে। ইতোমধ্যে সরকারের বানিজ্য মন্ত্রনালয় বিগত ৫/১২/২০১৭ তারিখে এস, আর, ও নং-৩৩৬/আইন মূলে ঞৎধফব ঙৎমধহরুধঃরড়হ জঁষবং, ১৯৯৪ সংশোধন রায়ে দুইবারের অধিক নির্বাচনে অংশ গ্রহন নিষিদ্ধ করে গেজেট প্রকাশ করেন। ইতোমধ্যে আগামী ০২/০২/২০১৮ ইং নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করে ১২/১১/২০১৭ ইং তারিখে তফসিল ঘোষনা করেন। কিন্তু, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ কালিন কোন কমিটির অস্তিত্ব চুয়াডাঙ্গা চেম্বারে নাই। এরূপ পরিস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের সাধারন সদস্য মোঃ মফিজুর রহমান মনা নির্বাচন অনুষ্ঠানের আপত্তি জানালে তার আপত্তি ও আপিল খারিজ হলে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে রীট পিটিশন নং-৪৭৪/২০১৮ দায়ের করেন। উক্ত রীটের প্রাথমিক শুনানী অন্তে মাননীয় বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং মাননীয় বিচারপতি জাফর আহমেদ মহোদয় এর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ রূল ইস্যু করেন এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানে ছয় মাসের অন্তর্বর্তী কালীন নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের বিরূদ্ধে মাননীয় আপীল বিভাগে আপীল দায়ের করলে মাননীয় চেম্বার জর্জ ২৪/০১/২০১৮ ইং তারিখে কোন আদেশ না দিয়ে আপীল বিভাগের শুনানীর জন্যে ২৮/০১/২০১৮ ইং তারিখে শুনানীর দিন ধার্য করেন। এরপর ২৮/০১/২০১৮ ইং তারিখে মাননীয় আপীল বিভাগ শুনানী অন্তে ঙহ সবৎরঃ আপীল টি খারিজ করেন। এর ফলে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত স্থগিতাদেশ বহাল থাকায় আগামী ২ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যাবেনা বলে জানিয়েছেন আদালত সূত্র।
কমেন্ট বক্স