নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে পেনশনসহ বেতন ভাতাদি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদানের ন্যায্য ও মানবিক দাবিতে পৌর কর্মীদের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে পেনশন, বেতন-ভাতাদিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে সারা দেশের ন্যায় গতকাল রবিবার চুয়াডাঙ্গার ৪টি পৌরসভায় কর্মবিরতি পালন করেছে পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে প্রথম দিনে গতকাল সকাল ৬টা থেকে পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের ব্যানারে চুয়াডাঙ্গা পৌর কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নেয় তারা।
এ সময় এক প্রতিবাদ সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি আয়ুব আলী বিশ্বাস বলেন, এটা আমাদের ন্যায্য দাবি। সকল সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পেনশন পায়, তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ কত উজ্জল। দীর্ঘদিন আমাদের এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। ৯৬ সালে সাবেক রাষ্টপতি জিল্লুর রহমান স্থানীয় মন্ত্রণালয়ে থাকাকালে এর একটি সুরাহা হলেও আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। তাই আমরা ৩ দিনের জন্য পানি ব্যতিত সকল সার্ভিস বন্ধ রেখে আন্দোলনে নেমেছি। এ সময় তারা তাদের দাবি আদায়ের জন্য বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
কর্মবিরতি পালনকালে আরও বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা পৌর সচিব কাজী শরিফুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান কাওছার, জেলা পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা সম্পাদিকা সাজেদা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন, আলমডাঙ্গা পৌরসভার আশরাফ আলী, সিরাজুল ইসলাম, দর্শনা পৌরসভার শাহ আলম, জীবননগর পৌরসভার আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ। আগামী মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে জানা গেছে। তবে পানি সরবরাহ কর্মসূচীর আওতামুক্ত থাকবে।

মেহেরপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধার দাবিতে তিনদিনের কর্মবিরতি পালন করছে পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। গতকার রবিবার সকাল থেকে মেহেরপুর পৌরসভা প্রাঙ্গনে মেহেরপুর ও গাংনী পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের ব্যানারে এ কর্মসূচী শুরু করেছেন। সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি ও মেহেরপুর পৌর সচিব তফিকুল আলমের নেতৃত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শামিম রেজা, মেহেরপুর পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিম খানা, সাধারণ সম্পাদক সানেয়ার হাসান দিপু, গাংনী শাখার সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, আবুল কালাম আজাদ, শফিউদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, খালেদা বানু, মেহেদী আল মামুন, নুর মোহাম্মদ, মিলন হোসেনসহ দুটি পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে অংশ নেন।
এসময় বক্তারা জানান, কর্মবিরতী চলাকালীন সময়ে শুধুমাত্র পানি সরবরাহ ব্যতিত সড়ক বাতি, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, দাপ্তরিককাজসহ অন্যান্য সকল সেবা বন্ধ থাকবে।