মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

পরীক্ষা চলাকালে কর্তব্যরত শিক্ষক ছাড়া কেউ হলে ঢুকবে না

  • আপলোড তারিখঃ ১৮-০১-২০১৮ ইং
পরীক্ষা চলাকালে কর্তব্যরত শিক্ষক ছাড়া কেউ হলে ঢুকবে না
চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা পূরবর্তী প্রস্তুতি সভা গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, পরীক্ষার সময় কেন্দ্রে পুলিশ ও ম্যাজিষ্ট্রেট উপস্থিত থাকবে; তবে তারা পরীক্ষা কক্ষে (হলে) প্রবেশ করবে না। প্রয়োজনে অসাধু পন্থা অলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে সকাল ৮টার মধ্যে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিত থাকতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।’ জেলা প্রশাসক বলেন, ‘অনিয়ময় প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কেউ ব্যর্থ হলে আমাদের জানাবেন আমরা সহযোগিতা করবো। যে সব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পূর্বে অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে হবে। বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের ওই পরীক্ষার দিন দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। এজন্য সকলকে নাম ও পদবী উল্লিখিত চেস কার্ড ব্যবহার করতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, পরীক্ষার্থীরা যাতে মনোরম পরিবেশে বসে পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারে সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে কেন্দ্র এলাকা ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে সুষ্ঠ ও নকল মুক্ত পরিবেশে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নীতিমালা মেনে কক্ষ পরিদর্শক নিয়োগ করার জন্য সকল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও কেন্দ্র সচিবদের অনুরোধ জানানো হয়। নকল করার অবৈধ পন্থা অবলম্বনের কারণে এই জেলার ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কর্যক্রম কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে। বিগত বছরের কার্যবিবরণী পাঠ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. জসীম উদ্দীন। এসময় বিভিন্ন উপজেলা পরিক্ষা কেন্দ্রের সচিব ও শিক্ষকগণ তাদের মত প্রকাশ করেন। সকলের মতামতের ভিত্তিতে এসময় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। সিদ্ধান্ত সমূহের মধ্যে রয়েছে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষামন্ত্রনালয় এবং শিক্ষা বোর্ডের নিদের্শনা অনুসারে কেন্দ্র সচিব সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শক্রমে কক্ষ পরিদর্শক নিয়োগ করবে। পরীক্ষার পূর্বে প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কেন্দ্র সচিব পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে প্রস্তুতি সভা করবে। পরীক্ষা পরিচালনা বিষয়ে কক্ষ পরিদর্শকের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করবে। কেন্দ্র সচিবগণ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের পরিদর্শকদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা করতে হবে। তাদের পরীক্ষা নিতিমালা ও কার্যবিবরণী সীদ্ধান্ত সমুহ পাঠ করে শুনিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। কেন্দ্র সচিব পরীক্ষার্থীদের সিটপ্লান নির্ণয় করবে। পরীক্ষায় ৬ ফুট বেঞ্চে ২ জন, ৬ ফুটের নিচের বেঞ্চে ১ জন করে পরীক্ষার্থী বসাতে হবে। বেঞ্চের সিটপ্লান জেড আকারে হতে হবে এবং ১ জন লোক যাতে স্বাভাবিকভাবে চলাফেলা করতে পারে এমন দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। কোনো মতেই এক বেঞ্চে একই স্কুলের ২ শিক্ষার্থী বসতে পারবে না। কোন কেন্দ্র সচিব নকল প্রতিরোধ করতে ব্যার্থ হলে সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরীক্ষার হলে কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। শুধু মাত্র কেন্দ্র সচিব তার অফিস কক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে। পারীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় তাদের তল্লাশী করতে হবে। প্রয়োজনে ছাত্রীদের পৃথক কক্ষে নিয়ে মহিলা শিক্ষীকা দ্বারা দেহ তল্লাশী করতে হবে। শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামাদী ছাড়া অন্য কিছু সাথে নিতে পারবে না। পুলিশের পাহারা প্রশ্নপত্র কেন্দ্রগুলোতে পৌছাতে হবে। পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে কেন্দ্রগুলোতে বিদুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৮ম থেকে ১০ম শ্রেণীর সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকদের কক্ষ পরিদর্শনের দায়িত্ব দেয়া যাবে না। আত্মীয় আছে এমন শিক্ষককে কেন্দ্র পরিদর্শন থেকে বিরত রাখতে হবে। এব্যাপারে কোনো শিক্ষক তথ্য গোপণ রাখলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের আশে পাশে ফটোকপির দোকান খোলা রাখা যাবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যনেজিং কমিটি/গভনিং বর্ডির সদস্যরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। পরীক্ষা চলাকালীন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কন্ট্রোলরুম সার্বক্ষণিক খোলা রাখা হবে; এজন্য একটা মোবাইল নম্বরও চালু করা হয়েছে। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, জেলা শিক্ষা অফিসার নিখীল চন্দ্র চক্রবর্তী, সহকারী পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার্স) আহসান হাবীব, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিনসহ বিভিন্ন উপজেলা পরীক্ষা কেন্দ্র’র সচিব ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। উল্লেখ্য, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও স্বতস্ফুর্ত ভাবে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। এবছর জেলার ২৮টি কেন্দ্রে মোট ১৫হাজার ১৯০ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেবে। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় ১৩ হাজার ৩০৬ জন, দাখিল পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৬৪ জন ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় ৮২০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে।


কমেন্ট বক্স
notebook

দেশের কোনো নাগরিকেরই এখন দুটি এনআইডি কার্ড নেই: ডিজি