ডাকাতদলের সদস্য শফিকুল ও সিদ্দিক গ্রেফতার
- আপলোড তারিখঃ ১০-১১-২০১৭ ইং
আলমডাঙ্গার বক্সিপুর-মাজুর মাঠে গরু ব্যবসায়ীদের নগদ টাকা লুটের ঘটনায়
আলমডাঙ্গা অফিস: আলসডাঙ্গার বক্সিপুর-মাজুর মাঠে গাছ ফেলে গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নেয়ার ঘটনায় দুই ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দিনগত গভীর রাতে আলমডাঙ্গার জামজামী বাজার থেকে ডাকাতীর সাথে সংশ্লিষ্ট দুই ডাকাতকে আটক করে পুলিশের একটি দল। আটকের আগে থেকেই এই দুইজনের গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল পুলিশ। গত মাসের ১৪ তারিখ রাত ৮টায় হাট থেকে ফেরা গরু ব্যবসায়ীদের বেঁধে মারধর করে তাদের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। এ ঘটনার সময় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারসহ পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ ডাকাতির ঘটনায় নিবিড় তদন্তে নামে। কয়েকজনের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ। ডাকাতির ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ার পর গত বুধবার গভীর রাতে জামজামী বাজার থেকে মাজু গ্রামের মৃত মুনসুর আলীর ছেলে রেমানিক ওরফে শফিকুল (৩২) ও বক্সিপুর গ্রামের মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে সিদ্দিককে (৩৫) আটক করে পুলিশ। গতকাল আটক দুইজনকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই দুই ডাকাতের মধ্যে মাজু গ্রামের রেমানিক দিনে হাটে সীম তরকারী বিক্রি করলেও রাতে হয়ে ওঠে ভয়ংকর। তরিতরকারির ব্যবসার আড়ালে সে একজন পেশাদার ডাকাত এবং সড়ক ডাকাতির সাথে জড়িত। অপরদিকে, বক্সিপুর গ্রামের সিদ্দিক দিনের বেলায় ভ্যানগাড়ি চালিয়ে সংসার পরিচালনার কথা জানায়। কিন্ত ভ্যানগাড়ির আড়ালে সেও একজন সড়ক ডাকাতচক্রের সদস্য। গতমাসে মাজুর মাঠে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা লুটের ঘটনায় পুলিশী তদন্তে এমনটায় বেরিয়ে এসেছে। এদের গতিবিধির ওপর নজর রেখে পুলিশ জানতে পারে মাজুর মাঠে সড়ক ডাকাতির সাথে এরা জড়িত। অনেকটা নিশ্চিত হয়ে বুধবার রাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার ওসি তদন্ত লুৎফুল কবীর, এসআই জিয়াউর রহমান ও এসআই জাকির হোসেন অভিযান চালিয়ে জামজামী বাজার থেকে দুই ছদ্মবেশী ডাকাতকে আটক করেন।
কমেন্ট বক্স