জীবননগর অফিস: জীবননগর উথলী রেলস্টেশনের অদূরে রাস্তা পারাপারের সময় ট্রেনে কেটে দাদি নিহত এবং নাতি গুরুতর আহত হয়েছে। আহত নাতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উথলী রেলস্টেশনের অদূরে রেললাইন পার হতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত পায়রা খাতুন (৪০) কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর বেলেডাঙ্গা গ্রামের মৃত ইরশাদ আলীর স্ত্রী। এছাড়া আহত হয়েছে তার নাতি জুনায়েদ (৭)। পায়রা খাতুনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আহত জুনায়েদকে উদ্ধার করে প্রথরে জীবননগর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। জানা যায়, গতকাল রবিবার সকালে কোটচাঁদপুরের সাফদারপুর থেকে নাতি জুনায়েদকে নিয়ে বেয়াইবাড়ি জীবননগরের উথলী সেনেরহুদা গ্রামে আসেন দাদি পায়রা খাতুন। সন্ধ্যায় গোয়ালন্দ ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নেন তিনি। সন্ধ্যায় জুনায়েদকে সাথে নিয়ে রেললাইনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় ট্রেনের শব্দ শুনে তিনি দ্রুত রেলস্টেশন পার হতে যান। এমন সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা দ্রতগামী কপোতক্ষ ট্রেন চলে আসে এবং ট্রেনে কাটা কেটে নিহত হন পায়রা খাতুন। ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাত লেগে গুরুতর আহত হয় শিশু জুনায়েদ। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী ছুটে এসে পায়রা খাতুনের দিখন্ডিত লাশ উদ্ধার করে রেললাইনের পাশে রেখে দেয়। আহত জুনায়েদকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদ হেদায়েত বিন সেতু বলেন, গুরুতর আহতাবস্থায় জুনায়েদ নামের সাত বছরের একটি শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার অবস্থা আশস্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।