দামুড়হুদা ডিএস দাখিল মাদ্রাসায় ৪০ জন শিক্ষার্থীকে ব্যতিক্রমভাবে লালন-পালন করছেন জামায়াতের জেলা আমির রুহুল আমিন। এতিমরা সাধারণত মাদ্রাসায় থেকে লেখাপড়া করে থাকে। কিন্তু দামুড়হুদার ৪০ জন এতিম শিক্ষার্থীকে বাসায় রেখেই তাদের লালন-পালন করাচ্ছেন জামায়াতের চুয়াডাঙ্গা জেলা আমির। তিনি ঈদের পূর্বে বাজারে নিয়ে গিয়ে তাদের নতুন জামা-কাপড় কিনে দিয়েছেন। গত সোমবার মাদ্রাসায় কোরবানির গরু জবেহ করে রান্না করে তাদের অভিভাবকসহ পরিবারের সদস্যদের দুপুরের খাবার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। এরপর আড়াই কেজি করে প্রত্যেক এতিমের হাতে কোরবানির গোশত তুলে দেন, যাতে তারা পরিবারে সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারে।
এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিন বলেন, ‘আমাদের সন্তানরা যেভাবে লালন-পালন হচ্ছে, এই এতিমরা যেন সেভাবে বড় হয়। তারা পিতাকে হারিয়েছে, এটা আল্লাহর একটা বিধান। বাংলাদেশের নিয়ম হচ্ছে এতিমরা এতিমখানায় যেয়ে লালন-পালন হয়। সেখানে তারা মাতার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়। এ জন্য বাসায় রেখে মাতার স্নেহে এতিম শিশুদের লেখাপড়া শেখানো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, তাদের নতুন পোষাক কিনে দেওয়া, টিউশনসহ আমরা ওই এতিমদের সব দায়িত্ব নিয়েছি। যাদের সুযোগ আছে, তাদেরকে শরিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, এদেরকে আমাদের সন্তানদের মতো গড়ে তুলে দেশের সম্পদে রুপান্তর করব, ইনশাল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান, দামুড়হুদা উপজেলা আমির নায়েব আলী, সেক্রেটারি আবেদ-উদ-দৌলা টিটন, সহকারী সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম জিয়া, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আমির মাওলানা আবুল কাশেম, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মাওলানা আব্দুল খালেক, উপজেলা শ্রমিকল্যাণ সভাপতি আবুল বাশার ও ছাত্রশিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি মুহসীন এমদাদুল্লাহ জামেন।