আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ২৭ হাজার ৬৫৬টি গবাদি পশু। এর মধ্যে গরু রয়েছে ১৪ হাজার ৯৭৬টি, মহিষ ৭২টি, ছাগল ১২ হাজার ২৩৩টি এবং ভেড়া ৩৭৫টি। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত গবাদি পশু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়তি লাভের আশায় খামারের পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে চলছে পশু লালন-পালনের শেষ সময়ের প্রস্তুতি।
হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সূত্র জানায়, উপজেলায় খামারের বাইরেও বহু মানুষ নিজ উদ্যোগে গরু ও ছাগল লালন-পালন করছেন। এসব পশু সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাদ্য যেমন ঘাস ও দানাদার খাবারে বড় করা হয়েছে। বাজারে বাড়তি লাভের আশায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন পশুর হাটে পাঠানো হচ্ছে প্রায় ৬ হাজার গবাদি পশু।
ফলসী ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের খামারি তোতা মিয়া জানান, ‘ছয় মাস আগে দুটি ষাঁড় কিনেছিলাম। ঈদ সামনে রেখে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসারের তত্ত্বাবধানে গরু মোটা করেছি। দুই দিন আগে বিক্রি করেছি ৫ লাখ ৬২ হাজার টাকায়। ভালোই লাভ হয়েছে। তবে গো-খাদ্যের দাম একটু কম হলে আরও লাভ করতে পারতাম।’
দৌলতপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের খামারি পলাশ বলেন, ‘এবার দুইটি ষাঁড় পালন করেছি। ৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। এতে আমার প্রায় ১ লাখ টাকা লাভ হয়েছে।’ হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. উজ্জ্বল কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে আমাদের পর্যাপ্ত তদারকি রয়েছে। আশা করছি, এবার পশুর দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে এবং খামারিরাও লাভবান হবেন। পশু হৃষ্টপুষ্টকরণে কেউ কোনো কৃত্রিম বা ক্ষতিকর পদ্ধতি ব্যবহার করছেন না। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।’