বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষে নতুন উত্তেজনা

আহত আরও একজনের মৃত্যু, সেনা টহল জোরদার
  • আপলোড তারিখঃ ০৫-০৬-২০২৫ ইং
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষে নতুন উত্তেজনা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ইউনুছ আলী (৬২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বুধবার সকালে যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। ফলে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল দুইয়ে। সংঘর্ষে প্রথম নিহত মহব্বত আলীর বড় ভাই ইউনুছ। নিহত ইউনুছ আলী উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামের মৃত হবিবুর রহমানের ছেলে। এক পরিবারের দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে নাকোবাড়িয়া গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সংঘর্ষে নিহত মহব্বত আলী ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির হামিদ গ্রুপের কর্মী।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (১ জুন) জামাল ইউনিয়নের পারখালকোলা গ্রামের শ্মশানঘাট এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির আরিফ ও নজরুল মোল্লা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় কুপিয়ে হত্যা করা হয় মহব্বত আলীকে (৫৮)। ভাইকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা ইউনুছ আলীকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তিনি যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এদিকে নিহত মহব্বত আলীর ছেলে এনামুল হক গত মঙ্গলবার বিকালে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে মোট ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এলাকাবাসী জানায়, নিহত ইউনুছ আলী এক সময় জামায়াতের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়নের সময় তিনি বিদেশে পালিয়ে যান। দেশে ফেরার পর ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন।

এদিকে, কোলা বাজারে আধিপত্য ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বিএনপির আরিফ ও জলিল গ্রুপের মধ্যে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে কোলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাকে দেখতে গিয়ে কোলা বাজারের ব্যাংকের সামনে হামলার শিকার হন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরোয়ার হোসেন মোল্লা। পরে কোলা বাজারের নিয়ন্ত্রণ নেয় যুবদল নেতা আরিফ ও জলিল রানা। গত ২৮ মে সংঘর্ষে নিহত মহব্বতের ছেলে মুস্তাফিজুর রহমানকে মারধর করে আরিফ গ্রুপের লোকজন। এরপর থেকেই কোলা ইউনিয়নে বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ-সহিংসতা বেড়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, এ সংঘর্ষে গোপালপুরের ঘ্যানা, বাগুটিয়া গ্রামের মুসা, উল্লা গ্রামের বিপ্লব ও লিটন, বিত্তিপাড়া গ্রামের সুমন, তালিয়ান গ্রামের হারুন ও মাসুদ আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা নিয়ে অংশ নেয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তারা আগে আওয়ামী লীগপন্থী সন্ত্রাসী ছিল, পরে ৫ আগস্টের পর থেকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে কাজ করছে।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘ইউনুছ আলী নামে এক বিএনপি কর্মী মারা গেছেন বলে শুনেছি। এ ঘটনায় ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে।’




কমেন্ট বক্স
notebook

ভারতে ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত