সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টুকে হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন। একইসঙ্গে তাকে স্থায়ী জামিন কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন মিণ্টুর আইনজীবী অ্যাড. প্রশান্ত কুমার কর্মকার। তিনি জানান, মামলার এফআইআরে মিণ্টুর নাম নেই, তিনি কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেননি। এসব বিবেচনায় হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করেছেন। এর আগে গত ২ জুন বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
২০২৪ সালের ১১ জুন ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকা থেকে মিণ্টুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে সাবেক এমপি আনার অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। উল্লেখ্য, আনোয়ারুল আজীমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন গত বছরের ১২ মে শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেপ্তার করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল বাবু, কিলার গ্রুপের সদস্য শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব, তানভীর ভূঁইয়া ও সিলিস্তা রহমানকে।
এদিকে, আনার হত্যার ঘটনা আন্তর্জাতিক রহস্যের মোড় নেয়। ১৮ মে ভারতের কলকাতার বরাহনগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন আনারের বন্ধু ভারতীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাস। ২২ মে নিউটাউনের বিলাসবহুল ‘সঞ্জীবা গার্ডেনস’ ফ্লাট থেকে উদ্ধার হয় রক্তমাখা আলামত। সেখানেই খুন করা হয় আনারকে-এমন তথ্য দেয় ভারতীয় পুলিশ। যদিও এখনো তার মরদেহ উদ্ধার হয়নি, কেবল কিছু মাংসের টুকরা ছাড়া।
ঘটনার দিনই ঢাকায় শেরেবাংলা নগর থানায় আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ডরিন। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে ডিবি ও পিবিআই। ভারতের পুলিশও তদন্তে জড়িত। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে আনার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে ভারতীয় পুলিশ চার্জশিট দিয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় ডরিনের সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে খুন হওয়া ব্যক্তির।