মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে শহীদ জিয়ার ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত

শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা, দোয়া মাহফিলসহ দিনভর নানা কর্মসূচি
  • আপলোড তারিখঃ ৩১-০৫-২০২৫ ইং
চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে শহীদ জিয়ার ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত

সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদগে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য তাঁকে হত্যা করে। স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা। জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেন। তাই তাকে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের জনক বলা হয়। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের সমন্বয়ে সার্ক প্রতিষ্ঠায় স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন জিয়াউর রহমান। শহিদ জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক এক কালজয়ী দর্শন প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।


    আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিরোধীদলের ওপর সীমাহীন নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়ে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী যথাযথভাবে পালন করতে পারেনি বিএনপি। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে এ বছর সেই কর্মসূচিগুলো পালন করেছে দলটি। নিম্নচাপ ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ বছর শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে টানা ৮ দিনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। গত ২৬ মে থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে ২ জুন পর্যন্ত।


চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টায় চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ চত্বরে জাতীয় ও শোক পতাকা উত্তোলন এবং দলীয় পতাকা অর্ধনমিতর মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা হয়। সকাল ৯টায় শিশু শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কবিতা আবৃত্তি, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জীবন ও আদর্শ নিয়ে আলোচনা সভা ও দুপুর ১২টায় বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ।


    প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক, যিনি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক হিসেবে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তিনি কেবল একজন মুক্তিযোদ্ধা নন, ছিলেন একজন প্রকৃত জাতীয় নেতা, যিনি দেশকে আত্মনির্ভরশীল করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তার চরিত্র হননের অপচেষ্টা চালানোও হয়েছে, প্রকৃত ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না। দেশের কোটি কোটি মানুষ শহীদ জিয়ার আদর্শে এখনো প্রেরণা খুঁজে পান। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি তার সেই আদর্শ লালন করে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছে। বর্তমান দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে আমরা শহিদ জিয়ার আদর্শকেই পাথেয় হিসেবে নিচ্ছি। আমাদের অঙ্গীকার, তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা।’


    শরীফুজ্জামান আরও বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধা বা রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের পুনর্জাগরণের প্রতীক। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জাতি স্বাধীনতা লাভের পর শৃঙ্খলার পথে ফিরেছিল। তিনি এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। যে সময় বাংলাদেশ দুর্নীতি, অস্থিরতা ও বৈদেশিক নির্ভরশীলতায় বিপর্যস্ত ছিল, সেই সময়ে তিনি কৃষি বিপ্লব, শিক্ষা বিস্তার, অবকাঠামো উন্নয়ন ও জাতীয়তাবাদী দর্শন দিয়ে একটি আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা দিয়েছিলেন।


    তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি শহিদ জিয়ার আদর্শে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা কোনো স্বৈরতন্ত্র, দুর্বৃত্তায়ন বা দমন-পীড়নের কাছে মাথানত করব না। শহিদ জিয়ার মতোই জীবন বাজি রেখে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। আমরা বিশ্বাস করি- তারেক রহমানের নেতৃত্বে সারাদেশে যে গণজাগরণ তৈরি হয়েছে, তা আর কেউ রুখতে পারবে না।’ জেলা বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আজকের এই শাহাদাতবার্ষিকীর দিনে আমাদের অঙ্গীকার, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। শহিদ জিয়ার রক্ত কখনো বৃথা যাবে না। তার আদর্শেই বাংলাদেশ আবার মাথা তুলে দাঁড়াবে।’


    প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটু এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন। আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রউফ উর নাহার রিনা, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপটন, জেলা আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত আহ্বায়ক অ্যাড. আ. স. ম. রউফ, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুর রশীদ ঝণ্টু, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক  সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি শরিফুল আলম বিলাস, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা পারভীন ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম. এ. তালহা।
    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিন, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা জাসাসের সভাপতি শহিদুল হক বিশ্বাস, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, জেলা ওলামা দলের সদস্যসচিব ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাওলানা আনোয়ার হোসেন, জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরীন পারভীন ও জেলা আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. মানি খন্দকার। এদিকে, গতকাল বাদ আছর চুয়াডাঙ্গা-১ সংসদীয় আসনের চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৫৭টি পয়েন্ট, সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৬০টি পয়েন্ট, আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৫০টি পয়েন্ট এবং আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার ১৮টি পয়েন্টে সর্বসাধারণের নিয়ে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।


চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের কর্মসূচি:
মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের হলরুমে এই মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, সফিকুল ইসলাম পিটু, খালিদ মাহমুদ মিল্টন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপটন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রউফুন নাহার রিনা, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকারম হোসেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝণ্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ তালহা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. শাহাজান খান ও সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা।


    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আ.স.ম. আব্দুর রউফ, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ শরিফুল আলম বিলাস, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব খান ও জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন আক্তার। মাহফিলে আরও অংশ নেন জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম, খন্দকার আরিফ, এম.এ. মক্কি, সাহাবুদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, সাদ্দাম হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়ালিদ হাসান, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রকিবুল হাসান এবং পৌর ছাত্রদলের সদস্য শাহরুখ আহমেদ প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মনি।


আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে শোক র‌্যালি, আলোচনা সভা ও অসহায়-দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি শোক র‌্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ও পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিণ্টু। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দ্দার।
    আলোচনায় তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা। দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে গিয়ে তিনি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে গভীর রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে কিছু বিপথগামী সেনাসদস্য তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং লাশ ফেলে দেয় রাউজানের গভীর জঙ্গলে। তিন দিন পর তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকায় এনে শেরেবাংলা নগরে জানাজা ও জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে দাফন করা হয়।’ 


    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রহমান ও বিএনপি নেতা এমদাদুল হক ডাবু। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু। বক্তব্য দেন উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মীর আসাদুজ্জামান উজ্জ্বল, পৌর বিএনপির সদস্যসচিব সাইফুদ্দিন কনক, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রহিদুল ইসলাম, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক বাবলু মিয়া, বিএনপি নেতা রিপন, রাজা, নুর ইসলাম, সোহেল, রাব্বি, আলিম, সাইফুল, রাজু ও ফকিরচাঁন। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শেষে গরিব-দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।


    এদিকে, পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ মালিথা। উপস্থিত ছিলেন পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আ. কাদের, ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, সহসভাপতি খন্দকার মতিয়ার রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা, মণ্টু মালিথা, মিলন মালিথা, বিএনপি নেতা ইব্রাহিম মাহমুদ, আনোয়ার, আরমান, আখতারুজ্জামান লুলু, শরিফ, হুমায়ূন কবির, আওয়াল কবির, মিণ্টু, রেজাউল, মানিকসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ উজির আহমেদ। দোয়া শেষে হতদরিদ্র মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে শহীদ জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    অপর দিকে, উপজেলার জামজামি ও ডাউকি ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী পালন করা হয়। জামজামি ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি পলাশ আহমেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন সভাপতি আলম শাহ। শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ১০টি স্থানে বাদ আসর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি লুৎফর রহমান, সহসভাপতি রমজান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আজলুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মিল্টন, আ. আলিম, দপ্তর সম্পাদক রবিউল ইসলাম, যুবদলের আহ্বায়ক আঃ সালাম। ছাত্রদল সভাপতি তুহিন মাহমুদের নেতৃত্বে জামজামি ও ডাউকি ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। ডাউকি ইউনিয়নে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন সেক্রেটারি আব্দুস সালাম। প্রধান অতিথি ছিলেন সভাপতি আব্দার আলী।


    এছাড়ও, কালিদাসপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগেও আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন সভাপতি আইনাল হক। প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য এমদাদুল হক ডাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আব্দুল খালেক, সহসভাপতি বাবলু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক টুটুল ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন উপজেলা যুবদলের সদস্য আলা উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মারফত আলী, সভাপতি জিল্লুর রহমান, সম্পাদক রেজাউল হক, সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদ আলী, যুবদল নেতা হিরো, এমদাদুল, হাবিব, বাদল, লিমন, সোহেল, অনু, কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাওন প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ ইয়াজ আলী।


    এদিকে, আলমডাঙ্গার ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নে সকাল ৭টায় ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিনের কর্মসূচির সূচনা হয়। বাদ আসর বিভিন্ন ওয়ার্ডে দোয়া মাহফিল, মোনাজাত ও গরীব-অসহায়দের মধ্যে তবারক বিতরণ করা হয়। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সানোয়ার হোসেন লাড্ডু, সাধারণ সম্পাদক আতাউল হুদা, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিরা, সহসভাপতি মজিরুল ইসলাম বিজু ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মাবুদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তহিবুল হুদা তুহিন, কৃষক দলের সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইউনুচ আলী, মহিলা দলের সভাপতি মাহফুজা ইয়াসমিন জলি, সাধারণ সম্পাদিকা সাগরী খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদিকা রোকসানা খাতুন, সাংবাদিক সেলিম বাবু ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সেলিম রেজাসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।


দামুড়হুদা:
দামুড়হুদা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে শহিদ জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় দামুড়হুদা ব্রিজ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও শোক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। এবং দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও নতিপোতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক ও দামুড়হুদা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল হাসান তনু, উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ছালমা জাহান পারুল, দামুড়হুদা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম লিটন, কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতিয়ার রহমান চুন্নু, রোকনুজ্জামান তোতাম, শামসুল আলম প্রমুখ। দিনভর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে স্মরণসভা, দোয়া মাহফিল ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

    অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএনপি কর্মী মোজাম্মেল হক। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, যুগ্ম সম্পাদক মন্টু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাশেম, দামুড়হুদা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, যুগ্ম সম্পাদক আনছার আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম লিটন, কৃষকদলের নেতা রোকনুজ্জামান তোতাম ও শামসুল আলম প্রমুখ।

    এছাড়াও, কুড়ুলগাছি ইউনিয়নে ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পর প্রতাপপুর গলায়দড়ি ঘাট ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন আবু বক্কার এবং প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আ. রশিদ। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু, দর্শনা থানা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য আব্দুল হাকিম, ডালিম মুহুরি, ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আঃ হক, সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, সহ-সভাপতি দোস্ত মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, যুবদলের টুটুল ও হান্নানসহ নেতাকর্মীরা। দোয়া পরিচালনা করেন নদীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ কাওছার আলী।

দর্শনা:
দর্শনা পৌর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। গতকাল জুমার নামাজের পর শান্তিপাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মসজিদের সামনে থেকে একটি শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও দর্শনা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী খন্দকার শওকত আলী এবং পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য, সাবেক ছাত্রনেতা আলহাজ্ব মশিউর রহমান। পরে দর্শনা রেল ইয়ার্ড এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে পৌর যুবদলের সদস্য রাকিবুল ইসলাম ব্রাইটের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন হাজী খন্দকার শওকত আলি ও আলহাজ্ব মশিউর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক পৌর বিএনপি নেতা মাহবুবুল ইসলাম খোকন, মহিদুল ইসলাম, সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন খেদু, লুৎফর রহমান, রেজাউল ইসলাম, জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মিঠু, দর্শনা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন লিটন, যুবদল নেতা মো. জালাল উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চল, যুবদল নেতা সরোয়ারসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পরে শান্তিপাড়া মাদরাসাসহ এলাকার গরিব, দুস্থ ও এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।


    একই দিন বিকেল চারটায় দর্শনা মুক্তমঞ্চে পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য ও দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক জিএস এনামুল হক শাহ মুকুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম পিটু। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সাবু এবং জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোকারম হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমন্বয়ক নাহারুল ইসলাম মাস্টার। মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক মো. ইকবাল হোসেন, মো. শরীফ উদ্দিন, মমিনুল ইসলাম, শফিউল আজম তোতা, মো. মালেক মন্ডল এবং পৌর বিএনপি নেতা তোফাজ্জল হোসেন, রবিউল ইসলাম রবি, আজিজুল হক ও আজিজুল ইসলাম।
 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক অপু সুলতান, দর্শনা থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক টুটুল শাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক রিঙ্কু, জেলা যুবদলের সদস্য মিতুন, রুহিন, আরুক, সুলতান, দর্শনা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুর আলম সিদ্দিকী মজনু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব রাশেদ আহমেদ, দর্শনা থানা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক শরিফ হোসেন, জেলা কৃষক দলের সদস্য হাতেম আলী, ফারুক আহমেদ এবং দর্শনা থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রেয়াল ইসলাম লিওন ও কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সয়েব। অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় খাবার বিতরণ করা হয়।


অন্যদিকে, নেহালপুর, বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নে পৃথকভাবে দোয়া মাহফিল ও কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়। গতকাল বাদ আসর তিতুদহ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিনাজুল হক মণ্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বড়শলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের সভাপতি মাসুদ রানা। উপস্থিত ছিলেন শুকুর আলী, আতিয়ার রহমান, ইব্রাহিমসহ নেতৃবৃন্দ। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সম্পাদক তারিফ হোসেনের নেতৃত্বে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুজ্জামান শামীম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জালাল উদ্দিন বাবু, আনিস আহমেদ প্রমুখ। মাগরিবের পর ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যৌথ আয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি নেতা মুকুল হোসেন এবং প্রধান অতিথি ছিলেন দর্শনা থানা বিএনপির (প্রস্তাবিত কমিটি) সহসভাপতি মশিউর রহমান মিলন। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন যুবদল নেতা ইলিয়াস আহমেদ পিণ্টু, কৃষক দলের আলতাব হোসেনসহ আরও অনেকে।


জীবননগর:
জীবননগর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে গতকাল বিকেলে থানা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মজনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ময়েন উদ্দিন মঈন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল ইসলাম খোকা, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল হোসেন, ছাত্রনেতা হাসান আলী এবং যুবদল নেতা সুমন হোসেন। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যুবদল নেতা আক্তার হোসেন।


উথলী:
উথলী ইউনিয়নে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে উথলী ডিগ্রি কলেজের হলরুমে বিকেলে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন জাহিদ, প্যানেল চেয়ারম্যান জহুরুল হক ঝণ্টু, প্রেসক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুস আলী ও মাহাতাব উদ্দিন বিশ্বাস, যুবদল নেতা আরমান আলী ও ছাত্রদল নেতা অমিত খান। নেতৃবৃন্দ জিয়াউর রহমানের জীবন ও আদর্শ তুলে ধরে বলেন, তার রেখে যাওয়া আদর্শকে ধারণ করে আন্দোলন সংগ্রামে প্রস্তুত থাকতে হবে। দোয়া পরিচালনা করেন বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুস সালাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান।


আন্দুলবাড়ীয়া:
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে পৃথকভাবে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, ফাতেহা পাঠ, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, খাবার বিতরণ এবং স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি। ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে ইউনিয়ন বিএনপি কার‌্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বদর উদ্দিন বদে। প্রধান অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খাঁন খোকন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক আজিম খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোনা, শহিদুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার নাসির উদ্দিন সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফরসহ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।


হাসাদাহ:
হাসাদাহ ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দিনব্যাপী প্রতিটি ওয়ার্ডে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বিকেল পাঁচটায় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন হাসাদাহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহ মামুন। এতে শহিদ জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম মাস্টার, সহসভাপতি শফিকুল আলম লিটন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামছুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ আরিফ, থানা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক সামছুল আলম (অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর) কৃষক দলের সভাপতি আমিনুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক শামীম শেখ, ছাত্রদলের সভাপতি তুষার ইমরান, সাধারণ সম্পাদক প্রিন্স মাহমুদ, বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। অনুষ্ঠানে শেষে আগতদের মাঝে খিচুড়ি ও ভাত বিতরণ করা হয়।    এছাড়া, ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে পৃথকভাবে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বাদ মাগরিব হাসাদাহ বাজারে  সংলগ্ন লামিয়া ট্রেডার্সের সামনে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।  এসময় উপস্থিত ছিলেন হাসাদাহ ইউনিয়ন বিএনপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান, জয়েন্ট সেক্রেটারি শফি উদ্দীন, ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামছুল আলম, কৃষক দলের আহ্বায়ক আমিনুর রহমান, হাসাদাহ  ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ মামুন, সদস্যসচিব শামীম শেখ প্রমুখ।


মেহেরপুর:
শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গরিব, অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি। গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব অ্যাড. কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এ মানবিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। খাবার বিতরণকালে কামরুল হাসান বলেন, ‘শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের অগ্রপথিক। তিনি মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এভাবেই শহিদ জিয়ার আদর্শকে সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে।’


অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইলিয়াস হোসেন, আলমগীর খান ছাতু, ওমর ফারুক, রোমানা আহমেদ, পেশাজীবী আহ্বায়ক নাজমুল হক লিটন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল সামাদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা। বক্তারা শহিদ জিয়ার আত্মত্যাগ ও অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠান শেষে শতাধিক দরিদ্র ও অসহায় মানুষের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। কর্মসূচিতে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। 


মুজিবনগর:
শহিদ রাষ্ট্রপতির শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিবনগর উপজেলা জেলা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচি পরিচালনা করেন উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব আনোয়ারুল ইসলাম।     অনুষ্ঠানে চার ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা শহিদ জিয়াউর রহমানের বীরত্বগাথা মুক্তিযুদ্ধ, রাজনৈতিক অবদান ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর অনন্য ভূমিকার কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। পরে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং অসহায়-দুস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। 


ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল জেলা বিএনপি দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করে। জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদের নেতৃত্বে ৬টি উপজেলার গ্রাম ও পাড়া-মহল্লায় দিবসটি পালিত হয়। এছাড়াও ঝিনাইদহ-৪ সংসদীয় আসনের প্রায় ১০০টি স্থানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল, স্মরণ সভা ও দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান তার ঘটনাবহুল কর্মময় জীবন দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে চিরস্থায়ী আসন অলঙ্কৃত করে আছেন। নানা কারণে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, জনপ্রিয়তা, নেতৃত্বের দৃঢ়তা ইত্যাদি গুণাবলি এ দেশের গণমানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল।



কমেন্ট বক্স