শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

মহেশপুর সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৩ দিন পর বাংলাদেশির মৃত্যু

  • আপলোড তারিখঃ ৩১-০৫-২০২৫ ইং
মহেশপুর সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৩ দিন পর বাংলাদেশির মৃত্যু
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ফের বিএসএফ’র গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম নাসির উদ্দীন (৪৬)। তিনি মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় পশ্চিমপাড়ার লুৎফর রহমান ওরফে লতাফুলের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে মহেশপুর সীমান্তের শ্যামকুড়ের ‘চেয়ারম্যান ঘাট’ এলাকায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৭ মে সীমান্ত এলাকায় ভারতের পাখিউড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা নাসিরকে গুলি করে। পেটে ও বুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনি চুপিসারে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে টানা ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে গতকাল শুক্রবার ভোরে মারা যান তিনি।


সীমান্তের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ মে নাসিরের সঙ্গে ছিলেন পদ্মপুকুর গ্রামের বর্ডার রিপন ও অনন্তপুর গ্রামের সোহাগ। ওই দিন তিনজন ভারত সীমান্তে গেলে বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে প্লাস্টিক বল অ্যামিউনিশন (ছররা গুলি) ছোড়ে। এতে নাসিরসহ তিনজনই আহত হন। পরে গোপনে চিকিৎসা নেন তারা। তবে রিপন ও সোহাগ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও প্রাণ হারান নাসির। নাসিরের প্রতিবেশী ও শ্যামকুড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহানুর বলেন, ভাতিজা মারা গেছে এটা সত্য। তবে কীভাবে মারা গেছে, তা বলতে পারছি না। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর দাফন সম্পন্ন হয়।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ফেরদৌস খান বলেন, ‘নাসিরের মৃত্যুর খবর শুনে তার বাড়িতে যাই। তবে পরিবারের কেউ বিএসএফ’র গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বলে স্বীকার করেনি। বিষয়টি তারা আড়াল করতে চাইছে। তবে এলাকাবাসীর অনেকেই বলছে বিএসএফ’র গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে।’ মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খাদিজা আক্তার বলেন, ‘বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছ থেকে শুনেছি। খোঁজ নিয়ে দেখব।’


এদিকে মহেশপুর-৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, ‘ঘটনা শোনার পর আমরা ঘটনাস্থলে টহল দল পাঠিয়েছি। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি, এমনকি গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টিও স্বীকার করেনি।’


প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১১ এপ্রিল বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ওয়াসিম এবং ২৭ এপ্রিল গোপালপুর গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে ওবাইদুর রহমান বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হন। তবে দেড় মাস পার হলেও নিহতদের লাশ এখনো ফেরত দেয়নি বিএসএফ। বিজিবি সূত্র জানায়, বিএসএফ লাশ দুটি ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে, যার ফলে ফেরত পেতে জটিলতা দেখা দিয়েছে।


কমেন্ট বক্স
notebook

বিচারপতির বাসভবন, সুপ্রিমকোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা