মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় শিশু শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আবৃত্তি, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলা সাহিত্য পরিষদ চত্বরে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় শহরের বিভিন্ন স্কুলের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তিনটি আলাদা বিভাগে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ছোটদের অংশগ্রহণ ও উপস্থাপনা দারুণ প্রশংসিত হয়।
পরে দুপুর ১২টায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘শহিদ জিয়াউর রহমান শুধুই একজন রাষ্ট্রপতি নন, তিনি ছিলেন এই দেশের আত্মনির্ভরতার প্রতীক। যিনি একাধারে মুক্তিযোদ্ধা, সংগঠক, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক এবং গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ। তার জীবন ও আদর্শ আজকের প্রজন্মের জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে।’
তিনি বলেন, আজকের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা শিশু-কিশোরেরা আমাদের ভবিষ্যৎ। শহীদ জিয়ার জীবন থেকে তারা শিখবে দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ এবং ন্যায়ের পথে দৃঢ়তা। আমরা চাই, আগামী প্রজন্ম ইতিহাস জানুক, সত্য জানুক এবং একটি সঠিক মূল্যবোধ নিয়ে বেড়ে উঠুক। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি সব সময়ই সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দিয়ে আসছে। এই আয়োজন তারই একটি অংশ। আমরা আশাবাদী, আগামী দিনগুলোতে শহীদ জিয়ার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা একটি গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের নির্মাতা হবে।’
আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, দৈনিক সময়ের সমীকরণের প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, দৈনিক মাথাভাঙ্গার বার্তা সম্পাদক ছড়াকার আহাদ আলী মোল্লা, অ্যাড. মানি খন্দকার, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রউফ উর নাহার রিনা, মনোয়ারা খুশি ও রিগ্যান এসকান্দার। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন জালাল উদ্দীন ও লিটন।
পরবর্তীদের প্রধান অতিথি শরীফুজ্জামান শরীফ অন্যান্য অতিথিদের নিয়ে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে শান্তনু ইসলাম অন্তু, দ্বিতীয় মেজবাইর রহমান ও তৃতীয় নওমী। আবৃতি ‘ক’ বিভাগে প্রথম প্রত্যুষা জামান, দ্বিতীয় সমৃদ্ধি জামান ও তৃতীয় মাকুরা এলিনা। আবৃত্তি ‘খ’ বিভাগে প্রথম রামিসা তাবাস্সুম, দ্বিতীয় আফরিয়া আক্তার মিলি ও তৃতীয় তাসনীম নাহার স্বর্ণালী। এছাড়া রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম মরিয়ম খাতুন, দ্বিতীয় মেহেদী হাসান তামীম ও তৃতীয় শান্তনু ইসলাম অন্তু।