যেকোনো অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রায় সোচ্চার দেখা গেছে সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান। তিনি গান-কবিতার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। এ ছাড়া রাজপথেও তিনি থাকেন সামনের সারিতে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সোচ্চার ছিলেন সায়ান। পরবর্তী সময়েও অন্যায় অবিচারে নিজের প্রতিবাদ থামিয়ে রাখেননি। এবার নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এ শিল্পী। গতকাল বুধবার দুপুর ১টায় দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, জামায়াতের সাথে হাত মিলিয়ে কোলাকুলি করে ‘ভোটের রাজনীতি’ করতে গিয়ে এই দেশে কিছুদিন আগেই একটা বড় দলের ত্রাহি মধুসূদন দশা হয়েছিল। আওয়ামী এমন নতুন ধারাবাহিক-গুরুতর পাপকর্ম করেছে দেশের মানুষের বিপক্ষে, যে সেই দলের গুরু-পাপকে ভুলিয়ে দিয়েছে প্রায়। নতুন দল এনসিপি’র সার্জিসরা, হাসনাতরা প্রথম থেকেই তাদের রাজনীতি পরিষ্কার করে দিয়েছে। ধন্যবাদ। সেই হিসেবে দেশের মানুষের, আমাদের মতো সাধারণ মানুষের অনেক সুবিধা হলো। দিনের শেষে ভোটেই তো দাঁড়াতে হবে আপনাদের। জামায়াতকে বুকের সাথে আগলে রেখে, রাজাকারের 'বেকসুর খালাসকে' উদযাপন করে আপনারা আমাদের ভোট চান? বিবেকবান স্বাভাবিক সাধারণ মানুষের?
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন, একাত্তরের পরে জন্মেছি বলে কি জামায়াত চিনি না? আলবদর চিনি না? বীরাঙ্গনার ব্যথা বুঝি না?? এই দেশের ছোট ছোট বাচ্চারাও, ইতিহাসবিদদের মতন দিন তারিখের রেফারেন্স দিয়ে জামায়াতের জন্ম ইতিহাস বলতে পারবে না হয়তো। কিন্তু জামায়াত কি, তাদের আদর্শ কি, তারা এই দেশের মানুষকে নিয়ে কি করতে চায়, তা আজকে সকালে জন্ম নেয়া বাচ্চটাও কালকে বিকালের মধ্যে শিখে যায়।
এনসিপির সমালোচনা করে সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান লিখেছেন, এনসিপি যে এই জায়গাটা ধরতে পারে নাই, তা তাদের বুদ্ধিমত্তার নির্দেশক। তারা নতুন দেশ গড়ার কথা বলে নিজেদের ভোটের জন্য জামায়াতকে বুকে টেনেছে বলে মনে হয়। আবার তাদের আরেকটি সঞ্চয় হলো 'আওয়ামী-ঘৃণা'। আজকে দেশে অনেক অন্যায় ঘটছে। তাদের সেসবে হেলদোল নাই। কিন্তু জামায়াত আর আলবদরকে ভালোবাসায় তারা আগুয়ান। ধন্যবাদ এই স্বচ্ছতার জন্য। এছাড়াও তিনি ইংরেজিতে তিনি আরও লিখেছেন, আই উইল নেভার সাপোর্ট এনসিপি (আমি কখনো এনসিপিকে সমর্থন করব না)!