বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশের ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেছে। তবে এসব ডকুমেন্টেড বা নথিবদ্ধ করা সময়সাপেক্ষ। এখন সেই কাজ চলছে। সবকিছু ঠিকঠিকভাবে সম্পন্ন করা গেলে পরবর্তীতে সেসব ফেরত আনতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
গভর্নর আরও বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যৌথ তদন্ত দল কাজ করছে। প্রয়োজনে আরও দল করা হবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ব্যাংকসহ রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাগুলো থেকে সর্বমোট ১৭ হাজার ৩৪৫টি সন্দেহজনক লেনদেন কার্যক্রম (এসটিআর/এসএআর) সংক্রান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছে বিএফআইইউ, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২২ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেশি।
বিএফআইইউয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৩-২৪ প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলা হয়, গত অর্থবছরে ১১৪টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থায় পাঠিয়েছে এবং ১ হাজার ২২০টি তথ্য আদান-প্রদান করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি। আর মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদারকরণের ফলে বাসেল অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং (এএমএল) ২০২৪ এর সূচকে বাংলাদেশ ১৩ ধাপ এগিয়ে ৫৯ নম্বরে অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএফআইইউয়ের প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।