দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তুপুর ও কাঁদিপুর গ্রামে এক রাতে তিনটি বাড়িতে ঢুকে সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ডাকাত দল ঘরে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে পালিয়ে যায়। গত সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা হলেন- কাঁদিপুর গ্রামের নেকবার আলী (৬০) এবং পুরাতন বাস্তুপুর গ্রামের আতিয়ার রহমান (৪৫) ও তার ভাই আনোয়ার হোসেন।
তাঁরা জানান, গভীর রাতে ৭-৮ জনের ডাকাত দল ঘরে ঢুকে প্রথমে আতিয়ার ও আনোয়ারের বাড়িতে হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ডাকাতরা দুই ভাইকে ওড়না দিয়ে হাত ও চোখ বেঁধে ফেলে। এরপর ঘরে থাকা এক জোড়া স্বর্ণের দুল ও প্রায় ৭০ হাজার টাকা লুট করে নেয়।
কাঁদিপুর গ্রামের নেকবার আলী জানান, তার বাড়িতেও একই কায়দায় হানা দেয় ডাকাত দল। ওই বাড়ির সব ঘরে তালা দেওয়া ছিল। কৌশলে একটি মুরগি ধরে দরজার সামনে ছেড়ে দেয় ডাকাতরা। পরিবারের সদস্যরা শিয়াল ভেবে মুরগি বাঁচাতে বাইরে বের হলে ডাকাতরা ঘরে ঢুকে পড়ে। এরপর নেকবার আলী ও তাঁর স্ত্রীকে রামদার উল্টো পাশে বেধড়ক মারধর করে। পরে তাঁর স্ত্রীর কানে থাকা ঝুমকো, গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন এবং কোরবানির জন্য ঘরে রাখা দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এছাড়াও একই রাতে রঘুনাথপুর ও কাঁদিপুর মাঠের সংযোগ সড়কে একটি মেহগনি গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা করে একই চক্র। তবে ওই সময় কেউ রাস্তায় না থাকায় তারা ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দামুড়হুদা থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা ও জীবননগর সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, জেলা ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মশিয়ার রহমান, জেলা সাইবার ইউনিটের ইনচার্জ আনিসুর রহমান, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবিরসহ জেলা ডিবি ও সাইবার পুলিশের একটি চৌকস টিম।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জেলা পুলিশ সুপার স্যার নিজেও পরিদর্শনে গেছেন। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’