মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে জমি আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি নিজের ফুফু সকিনা খাতুনকে মৃত দাদি ছফুরা খাতুন পরিচয়ে উপস্থাপন করে কৌশলে ৫ বিঘা ৭ শতক জমি নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন। ভুক্তভোগী সকিনা খাতুন বলেন, “২০১৮ সালের দিকে হঠাৎ আরিফুল আমাকে বলে, ‘ফুফু, তোমাকে ২ বিঘা জমি দেব, একটা ছোট কাজ করতে হবে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে শুধু আমার দাদির পরিচয়ে দাঁড়িয়ে থাকো।’ সরল বিশ্বাসে আমি তার কথা মতো কাজটি করি। কিন্তু আজ-কাল করে জমি না দিয়ে সে পরে জানিয়ে দেয়, আর জমি দেবে না। আমি এই প্রতারণার বিচার চাই।”
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আরিফুল ইসলাম তার দাদা মৃত আরমান মণ্ডল ও দাদি মৃত ছফুরা খাতুনের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে সম্পত্তির শরিকদের মধ্যে বণ্টন না করে জমি নিজের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ভাটপাড়া গ্রামের আরও এক জমির শরিক মামুন জানান, ‘আমার চাচা আব্দুর রহিম আমাদের দাদির ২২ বিঘা জমির মধ্যে ২ বিঘা ৭ শতক রেজিস্ট্রি করে নেন। এরপর ২০০৮ সালে চাচাতো ভাই আরিফুল ইসলাম জালিয়াতির মাধ্যমে আরও ৫ বিঘা ৭ শতক জমি নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে নেন। এখন আমরা নিজেদের প্রাপ্য অংশ চাইতে গেলে নানা ভয়-ভীতি ও মামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’
স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে, আরিফুল ইসলাম রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এক প্রভাবশালী নেতার ছায়ায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। সকিনা খাতুন বলেন, ‘আমার মা বহুদিন ধরে চোখে দেখতে পান না, অসুস্থ। আমরাও অসহায়। সেই সুযোগেই আমাদের ফাঁকি দিয়ে জমিগুলো দখলে রেখেছে। আমরা আমাদের ভোগদখলের অধিকার ফিরে চাই।’ ভুক্তভোগীরা জানান, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও ভূমি অফিসকে জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে দ্রুত তারা আদালতের আশ্রয় নেবেন বলে জানিয়েছেন।