ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কালাপাড়িয়া এলাকায় জোরপূর্বক একটি পুকুর থেকে মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে আবাসন এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হরিণাকুণ্ডু থানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত আমিরুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালাপাড়িয়া মৌজার এলএ কেস নম্বর ৩৯১/৬০-৬১ ও ২৩১/৮৮-৮৯ এর আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দখলকৃত জমির মধ্যে সিএস ৫৩৭ ও ৩৫৮ পূর্ণ দাগ এবং ৪৯৭, ৫০৪, ৫০৫ ও ৫৪১ আংশিক দাগ মিলিয়ে মোট ১.১৪ একর জমির মধ্যে প্রায় ০.৫০ একর জলাশয়টি ইজারা নেন হরিণাকুণ্ডু কালাপাড়িয়া কল্যাণ সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলাম। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী পুকুরটি ভোগদখল ও মাছ চাষ করে আসছিলেন।
আমিরুলের অভিযোগ, গতকাল মঙ্গলবার ভোর রাতে পরিকল্পিতভাবে আবাসন এলাকার হুমায়ুন কবির, আলিয়া খাতুন, রাসেল, শরাফত, মন্টু, আকাশ, নাজমা, আকলি খাতুন, পাখি খাতুনসহ অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জন ব্যক্তি লোহার রড, রামদা, বাঁশের লাঠি ও জাল নিয়ে পুকুরে প্রবেশ করে জাল ফেলে মাছ ধরতে শুরু করে। তিনি বাধা দিলে প্রতিপক্ষরা তাকে মারধরের চেষ্টা করে। প্রাণ রক্ষায় তিনি সেখান থেকে সরে গেলে অভিযুক্তরা প্রায় ১ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বস্তাবন্দি করে নিয়ে যায়।
আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নিয়ম অনুযায়ী সরকারি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছি। আবাসন এলাকার কিছু লোক দীর্ঘদিন ধরে পুকুরটি দখলের পাঁয়তারা করছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।’ অন্যদিকে, অভিযুক্তদের দাবি, আমিরুলের পুকুরটি আসলে সরকারি জমি, যেখানে ইউএনও অফিস থেকেই পোনা মাছ ছাড়া হয়েছিল। তিনি এককভাবে মাছ বিক্রি করতে চাচ্ছেন, যা অবৈধ।
হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ রউফ জানান, ‘বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। অভিযোগ পেয়েছি, যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বি.এম. তারিক উজ জামান বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’