দর্শনার ছয়ঘরিয়া গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে দিন-দুপুরে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৬-৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। রিয়াদে বাবা জিয়ারুল ওরফে জিয়া বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন। যার মামলা নম্বর ১৪। এ ঘটনায় পুলিশ এজহানামীয় আসামি হযরতের মা ফাহিমা বেগম (৪৫) ও স্ত্রী সুমাইয়াকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে। তবে মূল আসামি হযরতকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার স্কুলছাত্র রিয়াদকে ময়নাতদন্ত শেষে নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। অপরদিকে, ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী হযরত আলীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে মোটরসাইকেলসহ আসবাবপত্র।
জানা গেছে, দর্শনার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া ব্যাকপাড়ার বায়তুল্লাহর মেয়ে বিউটির বিয়ে হয় একই গ্রামের ডাঙ্গাপাড়ার আনোয়ার হোসেনের সাথে। মাসখানেক ধরে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্বের কারণে বিউটি বাপের বাড়ি চলে আসে। এদিকে আনোয়ারের সাথে বন্ধুত্ব হয় মোমিন কাজীর ছেলে জিয়ারুল ইসলাম জিয়ার। বিউটির ভাই হযরত তার ভগ্নিপতি আনোয়ারের সাথে মিশতে নিষেধ করেন জিয়াকে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
গত সোমবার দুপুরে জিয়ারুল ইসলামের ছেলে স্কুলপড়ুয়া ছেলে মাহমুদুল হাসান রিয়াদ বাড়ির পাশের মাঠ থেকে খেলাধুলা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় হযরত অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে রিয়াদকে। একপর্যায়ে হযরতকেও গালি দিয়ে দৌঁড়ে বাড়ি ফেরে রিয়াদ। এরপরই হযরত ও তার ভাগ্নে বিদ্যুৎ ধারালো হাসুয়া নিয়ে হামলা চালায় জিয়ারুলের বাড়িতে। রিয়াদের বাবা-মা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের মারধর করা হয়। ভয়ে পালানোর চেষ্টা করলে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রধান সড়কে রিয়াদকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে গলাই কোপ দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, ‘আমরা মূল আসামিকে ধরার জন্য জাল বিস্তার করেছি। যেকোনো সময় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।’