ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, যারা বারবার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, দেশে অবৈধ সংসদ বা সরকার গঠন করেছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের জনগণ কোনোভাবেই দুর্নীতি, গুম-খুন-অপহরণ, টাকা পাচারকারী, বর্বর বন্দিশালা আয়নাঘরের প্রতিষ্ঠাতা পতিত পলাতক অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না।’
গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য বিএনপি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তারেক রহমান বলেন, জনগণ দুটি বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে একমত। এক, বাংলাদেশকে যাতে আর কেউ ভবিষ্যতে তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে না পারে এবং দুই, গণতন্ত্রবিরোধী পলাতক তাঁবেদার অপশক্তি যাতে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। এই দুটি বিষয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ আপস করতে রাজি নয়। বিএনপিসহ বাংলাদেশের পক্ষের প্রতিটি রাজনৈতিক দল জনগণের এই দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে একমত।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে বাংলাদেশে বিগত দেড় দশক ধরে যে দলটি ফ্যাসিবাদী শাসন-শোষণ ছড়িয়েছিল, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ তাদের অপশক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে যে দলটি দেশ, জনগণ এবং গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, দেশের জনগণ তাদের অপশক্তি হিসেবে চিহ্ণিত করেছে।’
এদিকে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘নাগরিকদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে বিএনপি দেশে এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যে সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। কেউ যেন আপনার, আমার, আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার, ভোটের অধিকার কুক্ষিগত করে রাখার ষড়যন্ত্র করতে না পারে, সেজন্য জনগণের কাছে দায়বদ্ধ একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রত্যেকটি মানুষ যে যার অবস্থান থেকে সতর্ক এবং সজাগ থাকতে হবে।’
বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সফল দেখতে চায় জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে যাতে জনগণের সামনে একটা স্বচ্ছ ধারণা থাকে, এ কারণে বিএনপি প্রথম থেকেই অন্তর্র্বতী সরকারের কাছে তাদের একটি কর্মপরিকল্পনা বা পথ নকশা ঘোষণার আহ্বান বারবার জানিয়ে এসেছে। সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা যদি জনগণের থাকে, তাহলে জনগণের কোনোরকমের সংশয়, সন্দেহ কিংবা বিভ্রান্তির সুযোগ থাকে না।