মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটায় মুজিবনগর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য হাজী মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার কখনোই দেশের নাগরিকদের ওপর নিপীড়ন চালাতে পারে না। আজকের রাজনৈতিক অস্থিরতা, মূল্যস্ফীতি এবং বিদেশি বিনিয়োগের সংকটের মূল কারণ অবৈধভাবে গঠিত সরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের গর্ব। তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং সুষ্ঠু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবিলম্বে নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত।’ সম্মেলনের প্রধান বক্তা ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন।

মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনারুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল হাসান, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ, জেলা বিএনপির সদস্য ইলিয়াস হোসেন, আলমগীর খান ছাতু, আনসারুল হক, এ কে এম খায়রুল বাসার, ওমর ফারুক লিটন এবং হাফিজুর রহমান হ্যাপি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রিপন, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব এ. বাকাবিল্লাহ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম সজল, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি এস. এ. খান শিল্টু, সাধারণ সম্পাদক কাওসার আলী এবং পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান।

সম্মেলনের শুরুতে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।

সবশেষে, সদস্যদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। মোট ভোটার ছিলেন ৪৫৯ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ৪০৩টি। দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদে ছাতা প্রতীকে হাফিজুর রহমান ১৫৭টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন জিয়াউর রহমান।