চার মাস পর দেশে ফেরার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রামে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে তিনি খোশ মেজাজে সময় কাটাচ্ছেন। ভিড় না করতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হলেও দলীয় প্রধানকে একনজর দেখতে তার বাসভবনের সামনে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। তবে সাক্ষাতের সুযোগ না পেলেও স্মৃতি ধরে রাখতে কেউ কেউ সেই বাড়ির সামনে ছবি তুলছেন।
ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, ম্যাডামের স্বাস্থ্যের ফলোআপ করছেন চিকিত্সকরা। চিকিত্সকরা রোস্টার করে বাসায় গিয়ে ম্যাডামকে দেখে যাচ্ছেন। তাকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। আমি গিয়েছিলাম। ম্যাডাম ভালো আছেন। বিশেষ করে মানসিক অবস্থাটা খুবই ভালো আছে। দ্য লন্ডন ক্লিনিকের চিকিত্সকদের পরামর্শ অনুয়ায়ী চিকিত্সা চলবে। তিনি মেডিক্যাল বোর্ডের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকবেন। সুস্থ খালেদা জিয়াকে দেখতে গত দুই দিন তার পরিবারের লোকজন ও নিকট আত্মীয়স্বজন ছাড়া তেমন কাউকে বাসায় যেতে দিচ্ছে না নিরাপত্তারক্ষীরা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিত্সায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের একজন সদস্য বলেন, লন্ডন ক্লিনিকের পরামর্শে ম্যাডামের চিকিত্সা চলবে। তিনি বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন। ম্যাডামকে একটানা বসে না থেকে কিছুটা হাঁটাচলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। চিকিত্সকদের পরামর্শে ম্যাডামের জন্য বাসায় খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্যে চিকিত্সা শেষে মঙ্গলবার ঢাকায় ফেরেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় যান। সঙ্গে আসেন তার দুই পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান। জানা গেছে, জুবাইদা রহমান তার বাবার বাসা ধানমন্ডিতে এবং গুলশানের ফিরোজায় থাকছেন। আর শর্মিলা রহমান শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গেই থাকছেন সারাক্ষণ। লন্ডন থেকে বড় ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়াল কলে খোঁজখবর রাখছেন।
তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা :এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাসভবনে ফেরার পথে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, যারা খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন তাদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারেক রহমান। সেখানে আরো বলা হয়, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্য, পুলিশ, র্যাবসহ অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্যরা যেভাবে নিরাপত্তা ও কৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেছেন বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।