মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৫ শতাংশ। এর আগের দিন বুধবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর মঙ্গলবার তা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চলতি বছরে চুয়াডাঙ্গায় প্রথম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ মার্চ, সেদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তখন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৬ শতাংশ।
এদিকে, গরমের তীব্রতায় জনজীবনে ভোগান্তি বেড়েছে। চুয়াডাঙ্গা কোর্ট মোড়ে চায়ের দোকান চালানো রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রোদ এতটাই চড়া যে দুপুরে দোকানের সামনে লোকজন বসতেই চায় না। সন্ধ্যার পর কিছুটা ভিড় হয়, কিন্তু দুপুরের সময় দোকান ফাঁকা পড়ে থাকে। গরমের কারণে বাইরে লোকজনের চলাচলের সঙ্গে বিক্রিও আগের চেয়ে কমে গেছে।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, গতকাল বেলা ৩টায় ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা মৃদু তাপপ্রবাহের আওতায় পড়ে। সাধারণত ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রিকে মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং ৪০ ডিগ্রি বা তার বেশি হলে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। প্রতিবছর মার্চ ও এপ্রিল মাসে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকে, যা জনজীবনে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করে।