মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

মহেশপুর সীমান্তে বাংলাদেশিকে অকথ্য নির্যাতন; মৃত ভেবে ফেলে গেল বিএসএফ

  • আপলোড তারিখঃ ১৭-০৩-২০২৫ ইং
মহেশপুর সীমান্তে বাংলাদেশিকে অকথ্য নির্যাতন; মৃত ভেবে ফেলে গেল বিএসএফ

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ফারুক হোসেন (৪২) নামের এক বাংলাদেশিকে অকথ্য নির্যাতন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। নির্যাতনের পর মৃত ভেবে তাকে মহেশপুরের কুমিল্লাপাড়া এলাকায় ফেরে রেখে যায়। ফারুক নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বেরলি গ্রামের মোতালেব শেখের ছেলে। গতকাল রোববার সীমান্তের কুমিল্লাপাড়া মাঠে সকালে কৃষকরা কাজ করতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। ফারুককে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় নেপার মোড়ের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। কিছুটা সুস্থ হলে রোববার দুপুরে তার স্বজনেরা নিজ এলাকায় নিয়ে যান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ওবাইদুল ইসলাম এ খবর নিশ্চিত করে জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফারুক স্ত্রী হাসি শেখ ও কন্যা আয়েশাকে নিয়ে খোসালপুর বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল। এসময় তিনি বিএসএফের হাতে আটক হয়ে নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হন। আহত ফারুক গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ভারতের বরণবেড়ে ১৯৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের হাতে আটক হওয়ার পর তার গলায় দড়ি বেঁধে টানতে টানতে সীমান্তের দিকে মৃত ভেবে ছুড়ে ফেলে দেয়। ভোরের দিকে তার জ্ঞান ফিরে আসে।
তিনি আরও জানান, ১০ বছর ধরে স্ত্রীকে নিয়ে ভারতের ভেলর এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশি রোগীদের সহায়তা করতেন। রোগী কমে যাওয়ায় অবৈধ পথে তিনি ভারতের বরণবেড়ে সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরছিলেন। দেশে ফেরার পথে তাকে সহায়তা করেন ভারতের মধ্যে আলী হোসেন ও বাংলাদেশের মধ্যে বাঘাডাঙ্গা গ্রামের শাহজাহানের ছেলে মখলেছ ও একই গ্রামের আপিল উদ্দীনের ছেলে হাপি মন্ডল নামে তিনজন দালাল। এই চক্রটি তার কাছ থেকে মাথা প্রতি ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৪৫ হাজার টাকা নেয়।

এ ব্যাপারে মহেশপুর-৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশি নির্যাতনের তথ্য সংগ্রহ করতে সীমান্ত এলাকায় খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। খোঁজ পেলে বিস্তারিত জানানো যাবে। এদিকে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, আসন্ন ঈদ সামনে রেখে মহেশপুরের সীমান্ত এলাকার চোরাচালান পয়েন্টগুলো উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। মানব পাচারের পাশাপাশি গরু, মোবাইল, কাপড়, সোনার গহনা ও বিভিন্ন ধরনের মাদক দেদারসে ঢুকছে। সীমান্ত এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ ও বিজিবির সোর্সরা চোরাচালান ঘাটগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।



কমেন্ট বক্স
notebook

দেশের কোনো নাগরিকেরই এখন দুটি এনআইডি কার্ড নেই: ডিজি