বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

স্কুল ভর্তির লটারিতে নির্বাচিত ৩ লাখের বেশি

  • আপলোড তারিখঃ ১৮-১২-২০২৪ ইং
স্কুল ভর্তির লটারিতে নির্বাচিত ৩ লাখের বেশি

সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তি লটারির ফল গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ম তালিকায় নির্বাচিত হয়েছেন ৯৮ হাজার ২০৫ জন। আর বেসরকারি স্কুলে নির্বাচিত হয়েছেন ২ লাখ ৭ হাজার ৮৮৩ জন। এছাড়াও সরকারি স্কুলের ১ম অপেক্ষামান তালিকায় রয়েছেন ৭৯ হাজার ৫০২ জন, আর বেসরকারি স্কুলের অপেক্ষামাণ তালিকায় রয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন। সরকারি স্কুলের দ্বিতীয় অপেক্ষামান তালিকায় রয়েছেন ৫৮ হাজার ৫৫৮ জন। আর বেসরকারির ২য় অপেক্ষামান তালিকায় রয়েছেন ৬৭ হাজার ৫১৪ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সরকারিতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহের জোয়ার দেখা গেছে। বিপরীতে প্রকট হয়েছে বেসরকারিতে ভর্তির অনাগ্রহ। এবার সরকারি-বেসরকারি ৫ হাজার ৬২৫টি বিদ্যালয়ে মোট আসন আছে ১১ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৩টি। আসন্ন শিক্ষাবর্ষে স্কুল ভর্তির জন্য সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে মোট ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৭০৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছেন। ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৭৩৮টি পছন্দ দিয়েছেন তারা। এবার সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে সরকারি স্কুলগুলোতে। ৬৮০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২ জন।
মহানগর ও জেলা সদরের ৪ হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে রয়েছে মোট ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি আসন। এর বিপরীতে এবার আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭ জন শিক্ষার্থী। তারা স্কুল পছন্দ দিয়েছেন ৬ লাখ ২৮ হাজার চারটি। সে হিসেবে ভর্তির পরও বেসরকারি স্কুলে আসন শূন্য থাকবে। সরকারি স্কুলগুলোতে আবেদনের শীর্ষে রয়েছে মতিঝিল সরকারি বয়েজ স্কুল। বেসরকারিতে ভিকারুননিসা নূন স্কুলে আগ্রহ বেশি দেখিয়েছেন ছাত্রীরা। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে এ লটারির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিলো ১২ ডিসেম্বর। টেলিটকের অনুরোধে ও নানা জটিলতায় তা পিছিয়ে ১৭ ডিসেম্বনর করা হয়।
এদিকে, সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ১ম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির সব কার্যক্রম ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলোর প্রধানদের পাঠানো হয়েছে। অধিদপ্তর বলেছে, ডিজিটাল লটারির নির্বাচিতদের তালিকা অনুযায়ী ৬ কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার অধিদপ্তরের এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি প্রথম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত শূন্য আসনের বিপরীতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠান পরবর্তী শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত তালিকা এবং ১ম অপেক্ষমাণ ও ২য় অপেক্ষমাণ তালিকা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। ফলাফল শিটে নির্বাচিতদের তালিকা অনুযায়ী ৬ কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। নির্বাচিত তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার পর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ১ম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। ১ম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার পর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ২য় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ২ কর্মদিবসের মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। তবে আবশ্যিকভাবে ভর্তির সব কার্যক্রম ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
আরো জানা গেছে, ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি গ্রহণের সময় উল্লিখিত বিষয়গুলো অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। সেগুলো হলো: ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির আওতাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা যঃঃঢ়ং://মংধ.ঃবষবঃধষশ.পড়স.নফ লিংকে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ডাউনলোড অপশনটি ক্লিক করার পর তার প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারীদের তালিকা পেয়ে যাবেন। ডিজিটাল লটারিতে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত, ১ম অপেক্ষমাণ ও ২য় অপেক্ষমাণ তালিকার শিক্ষার্থীদের আবেদন সংক্রান্ত তথ্য এই লিংক থেকে যাচাই করতে পারবেন। লিংকে তথ্য টাইপ করে সাবমিট করলে আবেদনকারী কতবার আবেদন করেছে তা জানা যাবে।
এক্ষেত্রে কোনো আবেদনকারী তথ্য পরিবর্তন করে একাধিকবার আবেদন করে থাকলে ডিজিটাল লটারিতে তার ভর্তির নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে এবং নোটিশ বোর্ডে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত তালিকা এবং ১ম ও ২য় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রদর্শন করবেন। ভর্তিকালীন নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইকালীন শিক্ষার্থীর জন্ম সনদের মূল কপি, জন্ম সনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে), বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে। মিথ্যা তথ্য দেয়ার মাধ্যমে কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালায় যে সব কোটা সংরক্ষিত রয়েছে ভর্তির সময় এই কোটাগুলো নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। নির্বাচিত তালিকার মধ্য থেকে কোটার শূন্য আসন পূরণ না হলে পর্যায়ক্রমে ১ম ও ২য় অপেক্ষমাণ তালিকা হতে ক্রমানুসারে কোটার শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। এরপরও যদি কোটার শূন্য আসন পূরণ না হয় সেক্ষেত্রে সাধারণ নির্বাচিতদের মধ্য থেকে তালিকার ক্রমানুসারে এই শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো কারণে আসন শূন্য হলে বছরের কোনো সময়েই ডিজিটাল লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকার বাইরে কোনো শিক্ষার্থীকে এই শূন্য আসনে ভর্তি করানো যাবে না। ডিজিটাল লটারির আওতাভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠানে শূন্য আসনের বিপরীতে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী পাওয়া না গেলে মাউশি অধিদপ্তরের এ সংক্রান্ত ১১ নভেম্বরের জারি করা চিঠির আলোকে এই শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবেন। সর্বোপরি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধিবহির্ভূতভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে এবং পরবর্তীতে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন।



কমেন্ট বক্স
notebook

ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান