আলমডাঙ্গার ব্যায়ামাগারের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ ও ভূমিদস্যুদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আলিফ উদ্দিন মোড়ে আলমডাঙ্গার ব্যায়ামাগার উদ্ধার কমিটির ব্যানারে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ মেহেদি ইসলামের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘এলাকার যুবসমাজের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ১৯৮০ সালে এক ব্যক্তির দানকৃত জমির ওপর ব্যায়ামাগার হিসেবে একটা একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। সেখানেই ২০২১ সাল পর্যন্ত এলাকার ছেলেরা শরীরচর্চা চালিয়ে আসছিল। ২০২২ সালেও আমরা আমাদের ভবনের সংস্কারও করেছি। হঠাৎ করেই ফ্যাসিস্ট সরকারের কতিপয় দুর্বৃত্ত সেটি বিশেষ পন্থায় দখল করে অবৈধ পন্থায় জাকারিয়া হিরোর কাছে হস্তান্তর করে। এখন সময় বদলেছে, আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠান ফিরে চাই।’
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ব্যায়ামাগার উদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুল করিম চনচল, খো. আজাদ, সাংবাদিক রহমান মুকুল, সদস্য এমদাদ হোসেন, মাগরিবুর রহমান, শিক্ষক ফজলুল হক শামীম, মহিউদ্দিন, রেজাউল ইসলাম, আব্দুর রশীদ মঞ্জু, হাসিব খন্দকার, তাইফু প্রমুখ। মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন ফাহমিদুর রহমান মুন। এছাড়া মানববন্ধনে আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খো. হামিদুল ইসলাম আজম, রুবেল কাউনাইন, মোল্লা ফারুক এলাহী, খো. মুক্তার, খো. রিয়েল, কামরুল, মুন্নী, জনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আশির দশকে আলমডাঙ্গার শহীদ মিনারের পিছনে ইসলাম খানসহ কয়েক তরুণের প্রচেষ্টায় আলমডাঙ্গার ব্যায়ামাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর সাবেক সংসদ সদস্য মিঞা মোহাম্মদ মুনছুর আলী ও উপজেলা পরিষদের সহযোগিতায় ব্যায়ামাগারের ভবন নির্মিত হয়। ওই সম্পত্তির কাগজপত্র থাকলে গত কয়েক বছর আগে ক্ষমতাসীন সরকারের ছত্রছায়ায় ব্রাইট মডেল স্কুলের পরিচালক জাকারিয়া হিরো ব্যায়ামাগারের এই সম্পত্তি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিজ নামে করে নেন। আলমডাঙ্গাবাসীর প্রাণের এ প্রতিষ্ঠানের ভবন ভেঙে নিজ প্রতিষ্ঠানের ভবন তোলেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে তৎকালীন সময়ে স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও এসব নিউজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বহাল তবিয়তে ভোগদখল করে এসেছেন জাকারিয়া হিরো।