সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

মুজিবনগরে সরকারি ৬৬ বস্তা চাল চুরির অভিযোগ

  • আপলোড তারিখঃ ২৬-০৯-২০২৪ ইং
মুজিবনগরে সরকারি ৬৬ বস্তা চাল চুরির অভিযোগ

মুজিবনগরে হতদরিদ্রের জন্য বরাদ্দ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩ হাজার ৩০০ কেজি (৬৬ বস্তা) চাল চুরির অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা বিএনপি। গতকাল বুধবার বিকেলে মুজিবনগর প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম।

বক্তব্যে আমিরুল ইসলাম বলেন, আজিম উদ্দিন গাজী অভিযোগ করেছেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ১১০ জন সুবিধাভোগীর জন্য বরাদ্দ প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কেজি চাল তাদের না দিয়ে ডিলার মুজিবর রহমান উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বে জোর করে আত্মসাৎ করেছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও আপত্তিকর। আমিরুল ইসলাম আরও বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদে প্রায় ১৬ বছর জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ হয়েছে। এই ধরনের কোনো অভিযোগ আমার সম্পর্কে দেওয়া তো দূরের কথা কোনো দিন কেউ ভাবতেই পারেনি। তাই আমি মনে করি আজিম উদ্দিন গাজী আমার ও আমার নেতা-কর্মীদের নামে যে অভিযোগ দায়ের করেছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই মিথ্যা ও অসত্য অভিযোগের ফলে আমার ব্যক্তিগত ও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক এবং সামাজিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। পাশাপাশি দলেরও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি বিষয়টি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুনকে মৌখিকভাবে অবগত করেছি। আমার বিশ্বাস, যারা বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়, বিভেদ সৃষ্টি করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে দলের হাই কমান্ড সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকোনুজ্জামান রোকন, মহাজনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম কালু, দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবুল হাসান, সদস্যসচিব আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজিরসহ উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, কৃষকদলের নেতারা।

এ ব্যাপারে ডিলার মুজিবুর রহমান বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনে আমি দীর্ঘদিন ধরে চালের ডিলারশিপের দায়িত্ব পালন করে আসছি। চাল চুরির কোনো ঘটনা হয়নি। আমি সরকারি গোডাউন থেকে চাল উত্তোলন করে গোডাউনে মজুদ করি। সেটি সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মুজিবনগর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা এম এম ইকবাল হোসেন বলেন, আমি ডিলারের কাছে লিখিতভাবে বিষয়টি জানতে চেয়েছি। ডিলার একটি লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা একজন অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি রিপোর্ট দিলে ঘটনার সঠিক তথ্য জানতে পারবো।

এ ব্যাপারে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, আমি এই ব্যাপারে সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তির অভিযোগ পাইনি। তবে আজিমউদ্দিন নামের এক ব্যক্তির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।



কমেন্ট বক্স