দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কুতুবপুরে সমিতির ঋণের কিস্তি দেয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইদের হাতে রক্তাক্ত জখম হয়েছে তারিকুল। ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করা হয় তারিকুলের বাড়ী ঘর। আহত তারিকুল ইসলাম (৩০) কুতুবপুর গ্রামের প্রাইমারী স্কুলপাড়ার ওজু ভান্ডারির ছেলে। তাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন আহত তারিকুলের পিতা ওজু ভান্ডারী। আহত তারিকুল ইসলাম জানান, কুতুবপুর গ্রামের মিজানুরের স্ত্রী আশা সমিতি থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নেয়। সমিতি থেকে ঋণ নেয়ার সময় মিজানুরের স্ত্রীকে সহায়তা করেন আহত তারিকুলের ভাবি। গতকাল সকালে ঋণের কিস্তি দেয়ার দিন থাকলেও দেয়নি মর মিজানুরের স্ত্রী। এ নিয়ে তারিকুলের চাচি ও ভাবির মধ্যে বাকবিত-া শুরু হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে তারিকুলের চাচা নজু ভান্ডারী এবং তার দুই ছেলে মুরাদ ও মামুন মিলে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। পরে নজু ভান্ডারীর শ্যালক মুন্সীপুর গ্রামের গনিকামার ছেলে শফিকুল, ইনাদুল দলবলসহ হামলা চালিয়ে তারিকুল ও তার পিতা ওজু ভান্ডারীকে রক্তাক্ত জখম করে। সেইসাথে তারিকুলের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ঘরের ভিতরে থাকা টেলিভিশন, শোকেসসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল তছনছ করে দেয়। পরে তারিকুল ও তার পিতা ওজু আলিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় ওজু ভান্ডারী বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় শফিকুল, ইনাদুল, মামুন, মুরাদ, নজু ভান্ডারীকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ মোহাম্মদ ফখরুল আলম খাঁন জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো, আসামীরা পলাতক রয়েছে। আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।