বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ ও চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের আয়োজনে গতকাল রোববার বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ, ইফতার বিতরণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকালে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন নেতৃবৃন্দ।
দোয়া মাহফিল ও বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জাবিদুল ইসলাম জাবিদের পরিচালনায় ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জিল্লুর সভাপতিত্বে এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুল মালেক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি।

এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন পদ্মাবিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ায়েচ কুরুনি টিটু, পবিত্র কুমার আগরওয়ালা, আফিল উদ্দিন, মানিক শিকদার, অ্যাড. মুনিবুর রহমান পলাশ, শরিফুল ইসলাম চৌধুরী, যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। বিশ্বে মানচিত্রে উদিত হয়েছে বাংলাদেশ নামের একটি রাষ্ট্র। বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে একটি উন্নত ও আদর্শ রাষ্ট্রে পরিণত করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। বর্তমান সরকার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা লালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়া আমার অঙ্গীকার। এরই ধারাবাহিকতায় আমি পবিত্র রমজানের শুরুতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কোনো ইফতার পার্টি না করে, গরিব-অসহায় রোজাদারদের মধ্যে সেহরি এবং ইফতার বিতরণ কর্মসূচি মাসব্যাপী নিজ খরচে চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া সৃষ্টিকর্তা যদি চান, আমি ঈদের আগে ঈদ বাজার বিতরণ করব। আমি যার আদর্শে জীবনযাপন ও রাজনীতি করি, সেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজ জন্মবার্ষিকী। একইসাথে আজ জাতীয় শিশু দিবসও। তাই এই দিনে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করার জন্য যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই।
এছাড়াও আলোচক হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জিল্লুর রহমান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্যদিয়ে ৩০ লাখ শহিদের আত্মদান ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের। আজ আমাদের সেই জাতির জনকের জন্মবার্ষিকী ও একইসাথে জাতীয় শিশু দিবস। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরও সুসংগঠিত হবে এবং এগিয়ে যাবে। দিলীপ কুমার আগরওয়ালা আমাদের নেতা। তাকে নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব।

এছাড়া জেলা ছাত্রলীগ নেতা তানভীর আহমেদ সোহেল, পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি আশিকুর রহমান আশিক, মো. জানিব, শিলন, বাদশা, মিঠুন, সাদিকুর, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রাতুল, হাবিব, বাঁধন, আমিন, তানজিল, মিরাজ, শাওন, তালাদ, তানভীর, রাজীব, সদর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা শেখ রাসেল, শেখ সজিবসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন অ্যাড. মুনিবুর রহমান পলাশ। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন আলমগীর কবির শিপলু।