আকিমুল ইসলাম: চুয়াডঙ্গার সীমান্তবর্তী পশুহাট গুলোর মধ্যে বদরগঞ্জ পশুহাটের নাম অন্যতম হিসেবে বিরাজমান। আর মাত্র ৬দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। তাই ঈদকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। চুয়াডাঙ্গার সবগুলো হাটেই ছিল ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। কোরবানির পশুর দামের তালিকায় ছাগল, ভেড়া, মহিষের প্রায় সঠিক থাকলেও ঐ হাটে গরুর মূল্য অন্য বছরের তুলনায় এ বছর কিছুটা কম হওয়ায় কেনাবেচা ভালো হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। গতকাল শনিবার বদরগঞ্জ (দশমাইল) ছিলো কোরবানির পশু কেনাবেচার শেষ হাট। চুয়াডাঙ্গা সদরের বদরগঞ্জ (দশমাইল) কোরবানির পশুর হাটে সরেজমিনে দেখা যায়, হাটগুলোতে বিক্রির জন্য এতটাই পশু  জমা হয়েছে যে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে পা রাখার ঠাঁই নেই। কিন্তুু কাঙ্কিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে না তাদের পশুগুলো। বিক্রেতাদের অভিযোগ, গ্রাম্য পশু ব্যাবসায়ীরা (দালাল) গ্রামে যে দামে পশু ক্রয় করতে ইচ্ছুক ছিলো কিন্তুু হাটে এসে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পশু নিয়ে দাড়িয়ে থাকলেও সেই তুলনায় তেমন কেউই দামই করছে না পশুর। আর যে দাম বলছে পশুপালনে তাতে আমাদের আরো অনেক বেশি খরচ হয়ে গেছে। ক্রেতাদের দাবি, বাংলাদেশের উত্তাঞ্চল বন্যার পানিতে ঢুবে যাওয়ায় হঠাৎ করে পশুর দাম কমে গেছে। তবে ঈদের আগে আর বাড়বে বলে মনে হয় না। তবে মাঝারি সাইজের গরুগুলোর চাহিদা বেশি। মাঝারি সাইজের গরুগুলো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে। প্রয়োজনের দাগিতে অনেকে কাঙ্কিত মূল্য না পেয়েও তাদের পশু বিক্রি করেছে অল্প সংখ্যক। মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা থাকায় অনেকে কিছুটা দামে  বিক্রি করতে পারলেও একটু বড় সাইজের গরুগুলো খুবই কম বিক্রি হয়েছে। গতকাল  হাটের সব থেকে বেশি মূল্যের গরুটি ছিলো ৪লাখ টাকার। আর বাকিগুলো পঞ্চাশ হাজার থেকে দুই লক্ষ টাকার মধ্যে। অধিক পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে কিছু লাভের আশায় পশু পালন করেও কাঙ্কিত মূল্য না পেয়ে অনেকে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং হাট থেকে গরু বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে এবং পুনরায় ঈদের পর বিক্রয় করবে বলে জানান তারা।