মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

অনলাইনে সক্রিয় জঙ্গিরা!

  • আপলোড তারিখঃ ০৬-০৫-২০২৩ ইং
অনলাইনে সক্রিয় জঙ্গিরা!
সমীকরণ প্রতিবেদন: অনলাইনে সক্রিয় জঙ্গিরা। সামাজিক যোগাযোগসহ বিভিন্ন গোপন অ্যাপস ব্যবহার করে জঙ্গিবাদ প্রচার ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচার ও আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা। এমন কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিনজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করা পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। গতকাল শুক্রবার এটিইউ-এর মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, গত ৪ মে গভীর রাতে নোয়াখালী জেলায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় তিন সদস্যকে। তারা হচ্ছেন, মো. শিবলু ওরফে রফিকুল ইসলাম শিবলু ওরফে যোদ্ধা অফ হিন্দ (২০)। তার পিতার নাম সহিদ উলস্ন্যা। মায়ের নাম হাছিনা আক্তার। বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন গোপালপুর এলাকার আটিয়া কান্দি ব্যাপারী বাড়িতে। তিনি জেলাটির বেগমগঞ্জের মহবুলস্নাপুরের বাগবাড়ী বায়তুল জামে মসজিদ এলাকায় থাকতেন। তার তথ্য মতে শুক্রবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে কুমিলস্নায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে গ্রেপ্তার হয় জঙ্গি সংগঠনটির আরও দুই সদস্য। তারা হচ্ছেন, মো. জাহিদুর রহমান ওরফে জাহিদ (২৮)। পিতার নাম মো. হারুনুর রশিদ। মায়ের নাম জাহানারা বেগম। বাড়ি কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন শুভপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর নতুন বাড়িতে। অপর জনের নাম মো. শাহাদত হোসেন (২৫)। পিতার নাম মনতাজ উদ্দিন ভূঁইয়া। মায়ের নাম ফাহমিদা বেগম। বাড়ি কুমিলস্না জেলার লাকসাম থানাধীন ডিমাতলী গ্রামে। তাদের কাছে ৭টি উগ্রবাদ মতাদর্শী বই, জঙ্গিবাদের নানা অডিও ভিডিওসহ ৪টি এন্ড্রয়েড মোবাইল টেলিফোন ও ১০টি মোবাইল সিমকার্ড পাওয়া যায়। গ্রেপ্তারদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, গ্রেপ্তাররা শুধু অনলাইনে প্রচার-প্রচারণার মধ্যেই থেমে নেই। তারা বাংলাদেশে তথাকথিত খিলাফত রাষ্ট্র অর্থাৎ ইসলামি শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে বহু বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে তারা নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এজন্য তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন গোপন অ্যাপস ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করছিলেন। একই সঙ্গে তারা গোপন বৈঠক করছিলেন। পুলিশ সুপার বলছেন, উগ্রবাদী মনোভাবসম্পন্ন যুবকদের মোটিভেশন করছিলেন। ওইসব যুবক দিয়ে দেশে নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রচার-প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনা করছিলেন। গ্রেপ্তার শিবলু প্রতি মাসেই জঙ্গি সংগঠনটির সদস্যদের নিয়ে গোপন বৈঠক করতেন।


কমেন্ট বক্স
notebook

১০ পুলিশ সুপারকে অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি