বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

কেরুজ কৃষিমাঠ থেকে মাটি সংগ্রহ, পরীক্ষাগারে প্রেরণ

  • আপলোড তারিখঃ ০৬-১১-২০২২ ইং
কেরুজ কৃষিমাঠ থেকে মাটি সংগ্রহ, পরীক্ষাগারে প্রেরণ
দর্শনা অফিস: কৃষি মন্ত্রণালয়ের মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই)-এর একটি প্রতিনিধি দল দর্শনা কেরু চিনিকলের চারটি কৃষি খামারের মাটি সংগ্রহ অভিযান শেষে মাটির গুণগত মান নিরুপরে জন্য পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছে। গত শুক্রবার বাংলাদেশ শিল্প ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মাটির গুণগত মান পরীক্ষার জন্য সারাদেশে এ অভিযান শুরু করে। শুক্রবার ও গতকাল কেরু কৃষি মাঠ থেকে মাটি সংগ্রহ শেষে মাটি পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (ডিজি) কামারুজ্জামান জানান, মাটি পরীক্ষার পর সুষম সার প্রয়োগ করলে গাছের বৃদ্ধি ও ফলন বাড়ে। কারণ গাছ মাটি থেকে পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে। তিনি বলেন, ১৬টি পুষ্টি উপাদানের মধ্যে একটি ঘাটতি হলেই গাছের বৃদ্ধি ও ফলন ব্যহত হয়, তাছাড়া কোন ফসলের কী পরিমাণ সার দিতে হবে, তা জানতে মাটি পরীক্ষা খুবই প্রয়োজন। তিনি জানান, এই সংস্থাটি শিল্প ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সারাদেশ থেকে বিশেষ করে আখ ফসলের জন্য কৃষি জমির মাটি সংগ্রহ করে মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে জাতীয় মৃত্তিকা তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করছে। যার মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সবকিছু করা সম্ভব হবে। সংস্থার পরিচালক লিয়াকত হোসেন জানান, মাটি পরীক্ষা করে ফসল চাষ করা হলে ফলন বাড়ে, গাছের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, রোগবালাই ও পোকার আক্রমণ, উৎপাদন খরচ, সারের অপচয় কম ও উৎপাদিত ফসলের মান ভালো হয়। আখের সাথে সাথী ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজি কাইমুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম জানান, অম্লীয় মাটি সংশোধন করে অধিক ফসল ঘরে তোলা যায়। কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন জানান, এসআরডিআই বা মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধি দলটি শুক্র ও শনিবার মিলের ফুরশেদপুর, বেগমপুর, হিজলগাড়ি ও ডিহিকৃষ্ণপুর কৃষি খামারের বিভিন্ন ধরনের জমি থেকে মাটি সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছেন। পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত জমিতে কী পরিমাণ লবন ক্ষার বা অম্ল আছে, তা এখনই বলা যাবে না। এসময় বিএসএফআইসি মহাব্যবস্থাপক (ফিল্ড রিচার্জ) মো ইউসুফ আলী, কেরুর ডিজিএম (খামার) সুমন কুমার সাহা ডিজিএম (বীজ) দেলওয়ার হোসেন, ডিএম মাহাবুব হোসেন ও ফার্ম ইনচার্জ এমদাদুল হক সহস্ব স্ব খামারের ইনচার্জগণ এ মাটি সংগ্রহ কাজে সহযোগিতা করেন।


কমেন্ট বক্স
notebook

চুয়াডাঙ্গায় টানা দাবদাহে অতিষ্ঠ প্রাণিকূল, হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ