চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার উন্নয়নে সর্বস্তরে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। জনদুর্ভোগ লাঘবেও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। জেলা শহরের প্রধান সড়ক শহীদ আবুল কাশেম সড়কের রেলবাজারের নিকট সড়কের মাঝখানে থাকা দুটি বড় বড় গাছ অপসারণ করা অতিব জরুরি হয়ে পড়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, সর্বক্ষেত্রেই স্বচ্ছতার সাথে আমাদের দায়িত্ব পালন করা কর্তব্যের অংশ। জীবননগরে পৌর ভাগাড় নির্মাণে নিয়মতান্ত্রিকভাবে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হলে জেলা প্রশাসনের তরফে অবশ্যই সুপারিশরসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দর্শনা ও আলমডাঙ্গার ক্ষেত্রেও অভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। পৌরশহর যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, তেমনই জেলা শহরকেও বাসযোগ্য ও ঝুঁকিমুক্ত করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। জেলা শহরের শহীদ আবুল কাশেম সড়কে রেল লেবেল ক্রসিংয়ে গেট পড়লে দীর্ঘ সময় সড়কের উভয়দিকেই দীর্ঘ লাইন পড়ে। এতে যেমন প্রয়োজনীয় সময় বিনষ্ট হয়, তেমনই পোহাতে হয় দুর্ভোগ। যেহেতু অনেক আগেই রেল লেবেল ক্রসিংয়ে ওভার ব্রিজ বা ফ্লাইওভার নির্মাণের প্রস্তাবনা রয়েছে। এ প্রস্তাব যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন হয়, সে লক্ষে আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে যথাসাধ্য কাজ করতে হবে। জেলার প্রায় প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গণু, জীবননগর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা বেগম, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ তাদের দপ্তরের উন্নয়ন এবং সমস্যার বিষয়ে বিষদে উপস্থাপন করেন। সভার সভাপতি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গভীর মনযোগসহকারে তা শুনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের পরামর্শ দেন।