প্রতিবেদক, ডাকবাংলা:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান ৪০ দিনের প্রকল্প কর্মসূচিতে শ্রমিকদের সিমকার্ড চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে রেখে মজুরির টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগ করেছেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের মজুরির টাকা আসবে নিজ নিজ মোবাইল সিমকার্ডের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। কিন্তু চেয়ারম্যান ও মেম্বারা শ্রমিকদের সিমকার্ড নিজেদের কাছে রেখে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শ্রমিকরা।
সরেজমিনে হলিধানী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুর গ্রামে গিয়ে কর্মরত শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা সবাই নিজেদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ছবি নিয়ে সিমকার্ড তুলে নিজ নিজ ওয়ার্ডের মেম্বারদের কাছে জমা ও একটি কাগজে টিপসই দিয়েছেন। পরবর্তীতে এই সিমকার্ড আর ফেরত পাননি তাঁরা। কর্মরত শ্রমিকরা আরও জানান, তাঁদের প্রতিদিন জনপ্রতি ৪ শ টাকা করে দেওয়ায় কথা থাকলেও গত ২৬ দিনে কাজ করে তাঁরা পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ৬ শ টাকা, আবার কেউ পেয়েছেন ৩ হাজার ২ শ টাকা।
এ বিষয়ে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মালা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই সিমকার্ড আমি শ্রমিকদের হাতে দিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে শহিদুল মেম্বার সিমকার্ড নিয়ে নিয়েছে।’ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার সাথে সয়, চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলুন।’
এ বিষয়ে হলিধানী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অ্যাড. এনামুল হক নিলু বলেন, শ্রমিকদের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শওকত আলী জানান, ‘সিমকার্ড আমার কাছে আসার সাথে সাথে শ্রমিকদের দিয়ে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সিমকার্ড অবশ্যই কর্মরত শ্রমিকদের কাছে থাকবে। তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের সিমকার্ড ইউনিয়ন পরিষদে রাখার কোনো নিয়ম নেই। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।’