সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

বিকাশে প্রতারক চক্রের নতুন ফাঁদ!

  • আপলোড তারিখঃ ২২-১১-২০২১ ইং
বিকাশে প্রতারক চক্রের নতুন ফাঁদ!
উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নেওয়ার নতুন কৌশল এঁটেছে প্রতারক চক্র। বিকাশে উপবৃত্তির টাকা নিয়ে নতুন প্রতারণা শুরু করেছে তারা। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা প্রদানের ভুয়া এসএমএস দিয়ে তাঁদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে তাঁদের নগদ টাকা। গতকাল রোববার এমনই এক ঘটনা ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র আসাদুল আলম জনির সাথে। আসাদুল আলম জনি বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমার মোবাইল নম্বরে +৮৮০১৮৮৭৮৮৩৭৪৮ এই নম্বর থেকে একটি এসএমএস আসে। এসএমএসটিতে লেখা ছিল ‘প্রিয় শিক্ষার্থী! Coronavirus (COVID-19) এর কারণে তোমাদের উপবৃত্তির ৪,৫০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। টাকা গ্রহণের জন্য নিম্নোক্ত শিক্ষাবোর্ডের নম্বরে যোগাযোগ করুন। মোবাঃ ০১৮৭৫১৯৩০১৫, গোপন নম্বরঃ ১৯৮৬ শিক্ষামন্ত্রী (.........) যোগাযোগের সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত।` আমি এসএমএসটি পাওয়ার পর তাদের দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করলে প্রতারক চক্রটি প্রথমে মোবাইলে আসা গোপন নম্বরটি জানতে চাইলে আমি তাদেরকে গোপন নম্বরটি দিয়ে দিই। পরে তারা আমার কাছে অন্য কোনো ফোন নিতে বলে এবং বিকাশ নম্বরটি যে ফোনে আছে, সেই ফোনের সকল ডাটা কানেকশন অফ করতে বলে। আমি তাদের কথা মতো সকল ডাটা কানেকশন বন্ধ করি এবং প্রতারক চক্রটি আমার কাছে থাকা অন্য নম্বরটি নিয়ে আমাকে ফোন দিয়ে আমার বিকাশ নম্বরটি জানতে চায়। আমিও তাদেরকে আমার বিকাশ নম্বরটি দিয়ে দিই। তারা সেটিতে একটা ওটিপি পাঠায় এবং সেটি জানতে চায় আমি তাদেরকে ওটিপি দেওয়ার পরে তারা আমাকে মোবাইলের ক্যালকুলেটর অপশন বের করতে বলে এবং উপবৃত্তির টাকা ৪৫০০ ও বিকাশ পিন নম্বরটি গুন করে সেই সংখ্যা তাদেরকে বলতে বলে। প্রতারক চক্রটি যখনই আমাকে এই গুনের কথা বলে তখন আমি বুঝতে পারি যে আমি বিকাশ প্রতারক চক্রের ফাঁদে পরেছি। আমি তখনই ফোনটা কেটে দিয়ে আমার বিকাশে প্রবেশ করতে চাইলে দেখি আমার বিকাশ নম্বরে একাধিকবার পার্সওয়ার্ড দিয়ে খোলার চেষ্টা করার কারণে আমার বিকাশ নম্বরটি ব্লক হয়ে গেছে। তখন তাৎক্ষণিকভাবে বিকাশ হেল্পলাইনে যোগাযোগ করলে তারা আমার বিকাশটি ঠিক করে দেয়। আমি পরবর্তীতে প্রতারকচক্রটির ব্যবহৃত নম্বরটিতে ফোন দিলে সেই নম্বরে আর ফোন যায়নি তাদের ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।’ এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষক জানান, সকল শিক্ষার্থীদের টাকা তাঁদের স্কুলে জমা দেওয়া বিকাশ নম্বরে দেওয়া হবে। আর যদি তাঁদের উপবৃত্তির টাকা নিয়ে কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে তাঁদেরকে সরাসরি নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করার কথা বলেন তিনি। উপবৃত্তির টাকার জন্য কারও কাছে নিজের বিকাশ নম্বর বা পিন দেওয়া লাগে না। তাঁদের স্কুলে জমা দেওয়া বিকাশ নম্বরে সরাসরি টাকা প্রেরণ করা হবে। এর বাইরে কেউ যদি ছাত্রদের সাথে এরকম যোগাযোগ করে, তাহলে সেটা ধরে নিতে হবে সে প্রতারকের ফাঁদে পরেছে।


কমেন্ট বক্স