বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

প্রধান সড়কই যেন বাস টার্মিনাল!

  • আপলোড তারিখঃ ১১-১১-২০২১ ইং
প্রধান সড়কই যেন বাস টার্মিনাল!
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে খালি বাসের দীর্ঘ লাইনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পৌরবাসী। টার্মিনাল থাকলেও তা ব্যবহার না করে সড়ক দখল করে দীর্ঘ সময় ধরে বাসগুলো রেখে দেওয়ায় মাঝে মাধ্যেই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ পথচারীদের এসব অবৈধ বাস পার্কিংয়ের পাশ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। একে তো এ জেলাতে ট্রাক টার্মিনাল নেই, ফলে সড়কের ধারে ট্রাকের সাথে বাসের দীর্ঘ লাইন এ যেন মগের মুল্লুকের মতো অবস্থা। এছাড়া দৌলাতদিয়াড় এলাকায় এসব বাসের অবৈধ পার্কিংয়ের ফলে মূল সড়ক খুঁজে পাওয়ায় দুষ্কার হয়ে পড়ে। তবে এসব অবৈধ পার্র্র্র্কিং নিয়ে জেলার যে বিভাগের সব থেকে তোড়জোড় থাকার কথা, সেই ট্রাফিক পুলিশেরই গা-ছাড়া ভাব। গত সোমবার একটি ট্রাক ও ৯টি মোটরসাইকেলের বিভিন্ন অপরাধে মামলা হলেও এসব অবৈধ পার্কিংয়ের বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের ফলাফল শূন্য। গতকাল চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের পুরাতন ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড, রেল বাজার, একাডেমি মোড়, টাউন ফুটবল মাঠ, দৌলতদিয়াড় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, স্থানগুলো প্রতিটিই পৃথক পৃথক টার্মিনাল। কোথাও সড়কের অর্ধেকজুড়ে, আবার কোথাও সড়কের পাশে। আবার কোথাও গাদাগাদি করে ৫-৭টা খালি বাস দাঁড়িয়ে আছে। আবার নতুন মাথাভাঙ্গা ব্রিজ পার হয়ে দৌলাতদিয়াড়ের মুখেই একসাথে ২০-২৫টা বাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মনে হলো এটি চুয়াডাঙ্গার নতুন টার্মিনাল। তবে এসব এলাকার মধ্যে সব থেকে ঝুকিপূর্ণ স্থানে পরিণত হয়েছে একাডেমি মোড় এবং দৌলাতদিয়াড়। একাডেমি মোড়ে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বাসের একটি কাউন্টার আছে। আবার জীবননগর-হাসাদাহ রুটে চলাচলের জন্য একাডেমি মোড় কেউ অঘোষিত কাউন্টার বানিয়ে ফেলেছে এ রুটে চলাচলকারী বাসগুলো। ফলে সারাদিন ১৫-২০টা খালি বাস এই মোড়েই অবস্থান করে। একাডেমি মোড় থেকে আরামপাড়া সড়কে চলাচলে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয় সাধারণ লোকজনের। একই সাথে বাসের দীর্ঘ লাইনের ফলে মূল সড়কও সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে এই সংকীর্ণ সড়কে দ্রুতগতির গাড়িতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। একই অবস্থা দৌলতদিয়াড়ে। দৌলতদিয়াড় থেকে মেহেরপুর রুটে চলাচলের জন্য এবং আসমানখালি-হাটবোয়ালিয়া রুটে চলাচলের জন্য দুটি পৃথক কাউন্টার আছে। ফলে ব্রিজের মুখ থেকে তেলপাম্প পর্যন্ত সব সময় ২০-২৫টা খালি বাস দাঁড়িয়ে থাকে। আর দীর্ঘ সময় খালি বাসগুলো দাঁড়িয়ে থাকায় স্বাভাবিক চলাচলে চরম বেগ পেতে হয় এই এলাকার মানুষের। তবে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ পথচারীরা গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি দিয়ে খুব সহজেই সমাধানের সূত্রও জানিয়ে দিলেন। তারা বলেন, প্রশাসনের স্বদিচ্ছার অভাবেই এই বাসগুলো দীর্ঘ সময় মোড়ে মোড়ে জটলা করে থাকে। এই বাসগুলো যদি টার্মিনাল থেকে চলাচল শুরু করে, তাহলে শহরের ভেতর অনেকটা স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করা সহজ হবে। এদিকে অবৈধভাবে পার্কিং করা এসব বাসের মালিকরা জানান, বাসগুলো টিপ শেষে টার্মিনালেই আছে। অথচ চালকরা তাদের সুবিধার্থে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সড়ক দখল করে বাসগুলো রেখে দিয়েছে। বেশ কয়েকজন বাস চালকের সাথে কথা বলে জানা যায় এসব তথ্য। একাডেমি মোড়ে দীর্ঘ সময় বাস নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আবু রাইহান নামে এক চালকের সাথে কথা হলে তিনি অজুহাত দিয়ে বলেন, ‘আমার বাসের টিপের আর মাত্র কয়েক মিনিট বাকি আছে, এখনই চলে যাব। আমার সামনে যে বাসগুলো আছে, ওদের টিপ এখন নেই ওদের বলেন।’ সে আরও জানায়, রেলগেট পড়ার কারণে কিছুটা সময় আগে এসেছেন তিনি। সুগন্ধা পরিবহনের চালক ঠান্ডু বলেন, হাসান চত্বর থেকে তার চারটার সময় টিপ আছে। তবে টার্মিনাল ব্যবহার না করে দুই ঘণ্টা আগে একাডেমি মোড়ে সড়ক ধরে বাস রাখার কারণ জানতে চাইলেও তার উত্তর দেননি তিনি। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ফখরুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সারা দিনে একটি ট্রাকসহ ৯টি মোটরসাইকেলের বিভিন্ন অপরাধে মামলা হয়েছে। তবে এসব অবৈধ পার্কিংয়ের অপরাধে কোনো মামলা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, না এ ধরণের কোনো মামলা হয়নি। তবে তাঁর জানা মতে, একাডেমি মোড়ে একটি বাস স্টোপেজ আছে। রেলগেটে বিভিন্ন সময় আটকে থাকার কারণে ওরা ডিসি অফিস থেকে অনুমতি নিয়েছে এখানে পাঁচটা বাস রাখার জন্য। তবে সে বিষয়ে কোনো কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি।


কমেন্ট বক্স
notebook

আলমডাঙ্গা ও জীবননগরে গাংনীতে জামায়াতের দায়িত্বশীল সমাবেশ