কোটচাঁদপুরে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার : তিন র্যাব সদস্য আহত
- আপলোড তারিখঃ ৩১-০৫-২০১৭ ইং
ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে মাইদুল ইসলাম ওরফে রানা (৪৫) ও আলিমুদ্দীন (৬০) নামে দুইজন চরমপন্থি সদস্য নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে কোটচাঁদপুরের বহরমপুর গ্রামের নাগরতলা নামক স্থানে এই বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় র্যাবের তিন সদস্য হাবিলদার মহসিন আলী, কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম ও আবুল কালাম আজাদ আহত হন। পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল) জনযুদ্ধের আঞ্চলিত নেতা নিহত মাইদুল ইসলাম রানা কোটচাঁদপুরের বকশিপুর গ্রামের ফকির চাঁদ মন্ডলের ছেলে। অন্যদিকে আলিমুদ্দিন একই উপজেলার বহরমপুর গ্রামের সলেমান মন্ডলের ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে র্যাব দুইটি বিদেশী একনালা বন্দুক, একটি নাইন এমএম পিস্তল, ১৪ রাউন্ড গুলি, একটি হাসুয়া ও দুইটি মোবাইল সেট উদ্ধার করে। ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর অধিনায়ক মেজর মনির আহম্মেদ জানান, রাত ১২টার দিকে র্যাবের টহল দল কোটচাঁদপুরের কুশনা ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামে পৌছালে সন্ত্রাসীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। বন্দুক যুদ্ধে মাহিদুল ইসলাম ওরফে রানা ও আলিমুদ্দীন গুলিবৃদ্ধ হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ফারুক হোসেন মৃত বলে ঘোষনা করেন। ডাঃ ফারুক হোসেন জানান, হাসপাতালে আনার অনেক আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে কোটচাঁদপুরের ওসি বিপ্লব কুমার সাহা জানান, রাতে গুলির শব্দ পেয়ে পুলিশ কোটচাঁদপুর হাসপাতালে যায়। সেখানে আমরা দুই জনের গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পায়। উল্লেখ্য নিহত মাইদুল ইসলাম রানা জনযুদ্ধের প্রধান দাদা তপনের কাছে লোক বলে পরিচিত ছিল। পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির একচেটিয়া দাপটের সময় রানা ছিল মুর্তিমান আতংক। ১৯৯৫ সালে ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়া থেকে সন্ত্রাসী রানা একে-৪৭ রাইফেলসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। জামিনে মুক্তি পেয়ে সে আবারো অন্ধকার জগতে ফিরে যায়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কোটচাঁদপুর মহেশপুর এলাকার এক সাবেক সাংসদের তত্বাবধানে প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে শুরু করে।
কমেন্ট বক্স