২০ বেডের হাসপাতাল পাচ্ছে আলমডাঙ্গাবাসী
- আপলোড তারিখঃ ২৯-০৯-২০২১ ইং
আলমডাঙ্গায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দারের মতবিনিময়
আলমডাঙ্গা অফিস:
দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি শহর কেন্দ্রিক একটি হাসপাতালের। সেই দাবি এবার পূরণ হতে চলেছে। আলমডাঙ্গাবাসী খুব শীঘ্রই ২০ বেডের একটি সরকারি হাসপাতাল পেতে যাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন গতকাল মঙ্গলবার আলমডাঙ্গাবাসীকে এ সুসংবাদ দেন। আলমডাঙ্গার সকল ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দলীয় অফিসে মতবিনিময়কালে এ সুসংবাদটি দেন এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার।
মতবিনিময় সভায় এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘আমি বহুদিন থেকেই আলমডাঙ্গা শহর সংলগ্ন একটি হাসপাতাল করার চেষ্টা করছি। মোহাম্মদ নাসিম সাহেব যখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন থেকেই চেষ্টা করছি। সে চেষ্টা কিছুটা সফল হয়েছে। ২০ বেডের একটা হাসপাতাল আপনারা খুব শীঘ্রই পাবেন। এ জন্য জমি লাগবে। সরকার বিল্ডিং দেবে, ডাক্তার, নার্স ও ওষুধ সবই দেবে। আপনাদের শুধু জমির ব্যবস্থা করতে হবে। আল্লাহ যাদের সামর্থ্য দিয়েছেন, তারা একটু উদ্যোগী হলেই জমি দ্রুতই পাওয়া সম্ভব। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটা কেন হারদী চলে গেছে জানেন, জমি না দেওয়ার কারণে। আজকের এই হাসপাতালটা যাতে আলমডাঙ্গায় হয়, সেজন্য আপনাদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আহ্বান করেছি। আপনারা যদি হাসপাতালটা চান, তাহলে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘এটা সেবামূলক একটা প্রতিষ্ঠান, যে যতটুকু সহযোগিতা করতে পারেন, করবেন। এই টাকা কিন্তু তোলা থাকবে, এর হিসেব এক সময় পাবেন। জনগণের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে, বিশেষ করে গরীব মানুষের স্বার্থে এই হাসপাতালটা একান্ত জরুরি। আমিও আপনাদের সাথে শরিক হবো।’
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও হার্ডওয়্যার মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন।
কমেন্ট বক্স