মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

পানিতে ডুবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের মুত্যু

  • আপলোড তারিখঃ ০৪-০৭-২০২১ ইং
পানিতে ডুবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের মুত্যু
শখের বসে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে বিপত্তি নিজস্ব প্রতিবেদক: শখের বসে দুই বন্ধুর সাথে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে এআইইউবি’র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক মাইনুর রহমান মুন্নার মুত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর একটার দিকে কেদারগঞ্জ সিএন্ডবি এলাকার উত্তরপাড়ার ঈদগাহর পার্শ্ববর্তী ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাইনুর রহমান মুন্না (২৭) চুয়াডাঙ্গার হাটকালুগঞ্জ এলাকার পোস্ট মাস্টার আব্দুল মমিনের ছেলে। প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, সবুজ ও মমিনুল নামের দুই বন্ধুর সাথে ঈদগাহর পাশের ঘাটে গোসল করতে এসেছিলেন তাঁরা। প্রথমে মাইনুর রহমান মুন্না পানিতে নেমে তলিয়ে যেতে থাকে। মুন্নাকে উদ্ধার করতে এক বন্ধু পানিতে নামলে তিনিও তলিয়ে যেতে থাকেন। পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা অপর বন্ধুর চিৎকারে কিছু মানুষ এসে একজনকে উদ্ধার করতে পারলেও মুন্না পানির নিচে হারিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে মুন্নাকে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে খুলনার ডুবুরী দলের সহায়তা চায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ডুবুরী দলের সদস্যরা এসে খোঁজাখুঁজির কিছুক্ষণ পর ছয়টার দিকে মাইনুর রহমান মুন্নার মৃতদেহটি উদ্ধার করতে সক্ষম হন। স্থানীয়রা জানান, এঁরা তিনজন খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তিনজনের মধ্যে একজনও সাঁতার জানতেন না। নদীর বেশি গভীরে না যেয়ে অল্প একটু নেমেই গোসল করার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। তবে মুন্না যেখানে নামেন সেখানে পানির গভীরতা একটু বেশি ছিল বলে পানির স্রোতের সাথে তিনি নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। মাইনুর রহমান মুন্নার প্রতিবেশীরা জানান, খুবই নরম প্রকৃতির ছেলে ছিলেন মুন্না। এলাকার কারো সাথে তেমন না মিশলেও সিএন্ডবি পাড়ার সবুজ ও মমিনুলের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল। ছুটিতে বাড়ি আসলে ওই তিনজনই একসাথে চলাফেরা করতেন। এআইইউবিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর ওপর লেখাপড়া করে ওই ইউনিভার্সিটিতে একই ডিপার্টমেন্টে শিক্ষকতা করতেন তিনি। করোনার কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গত ঈদে বাড়ি এসে আর ইউনিভার্সিটিতে যাননি তিনি। এ ঘটনার খবর পয়ে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এদিকে, লাশ উদ্ধারের পর চুয়াডাঙ্গা পুলিশের কাছে মৃতদেহটি হস্তান্তর করে ফায়ার সার্ভিস। নিহত মাইনুর রহমান মুন্নার পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ঘটনাস্থলেই মৃতদেহটি হস্তান্তর করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আতিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনুসন্ধান চালানো শুরু করেন তাঁরা। একই সাথে খুলনার ডুবুরী দলের সহযোগিতা চাওয়া হয়। ডুবুরী দল এসে কাজ শুরু করার কিছু সময় পর মৃতদেহটি উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, এরা তিনজনের একজনও সাঁতার জানতেন না। শখের বসে নদীতে গোসল করতে নেমেই পানিতে তলিয়ে যান মাইনুর রহমান মুন্না। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ সদর থানা পুলিমের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এবং কোনো অভিযোগ না থাকায় মৃতদেহটি তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


কমেন্ট বক্স
notebook

চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গায় যৌথ সভায় জেলা বিএনপির সম্পাদক শরীফুজ্জামান