বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ, চরম বিপাকে চাষিরা
- আপলোড তারিখঃ ২৩-০৬-২০২১ ইং
দামুড়হুদায় অসাধু ব্যবসায়ীদের কাণ্ড, লকডাউনের সুযোগে সার সংকট দেখিয়ে
প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদায় করোনাভাইরাস বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলাজুড়ে চলছে লকডাউন। আর এই লকডাউনকে পুঁজি করে উপজেলার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সার ও কীটনাশক সংকট দেখিয়ে বেশি দামে সার বিক্রয় করছেন। এতে চাষিরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চাষিরা।
জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলা ১৪ দিনের লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তারচেয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রামের সাধারণ কৃষকরা। একদিকে এনজিওর কর্মীরা কিস্তির টাকার জন্য অতিষ্ঠ করে তুলছেন, অন্য দিকে মাঠের ফসলে সার ও কীটনাশক দেওয়ার জন্য বাজারে গিয়ে মাথায় হাত দিতে হচ্ছে কৃষকের। সরকার নির্ধারিত মূল্য ইউরিয়া সার ৮ শ টাকা। এখন কিনতে হচ্ছে ৮৫০ টাকায়। ফসফেট সারের সরকারি দাম ১১০০ টাকা, এখন কিনতে হচ্ছে ১২৫০ টাকায়। দানা পটাশ আগে দাম ছিল ৮৫০ টাকা, এখন কিনতে হচ্ছে ১১৭০ টাকায়। গুড়া পটাশ আগে কিনতে হতো ৬৯০ টাকায়, এখন কিনতে হচ্ছে ৭২০ টাকায়। এভাবে বেশি দামে সার কিনতে হলে চাষি মহল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এখনই বাজার নিয়ন্ত্রণ না করা হলে পুঁজিবাদি অসাধু সার ব্যবসায়ীদের খপ্পর থেকে বাঁচতে পারবেন না সাধারণ কৃষকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কৃষক বলেন, ‘আমরা পড়েছি বিপদে। এমনিতেই আমাদের আয় কম, লকডাউনের মধ্যে কাজে যেতে পারছি না। বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করতে হয়। এখন না পারছি এনজিওর টাকা দিতে, না পারছি সার কিনে ফসলে দিতে। তাই সারের দাম যাতে আগের দামে থাকে, সেদিকে নজর দিবেন ইউএনও মহোদয়, এই প্রত্যাশা করি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মনিরউজ্জামান মনির বলেন, ‘এভাবে সারের দাম বেশি নিচ্ছে আমার কাছেও অভিযোগ আসছে। আমাদের উপজেলায় পর্যাপ্ত সার আছে, তাতে সারের দাম বেশি নেওয়ার কোনো মানেই হয় না। তবে যে ব্যবসায়ী সারের দাম বেশি নিচ্ছেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কমেন্ট বক্স