সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

শ্বশুর বাড়ির অত্যাচারে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সোনালী

  • আপলোড তারিখঃ ১০-০৪-২০২১ ইং
শ্বশুর বাড়ির অত্যাচারে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সোনালী
ঝিনাইদহ অফিস: যৌতুকলোভী স্বামী শ্বশুর ও শাশুড়ীর যৌথ অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার অপচেষ্টা করতে চেয়েছিলেন সোনালী খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধূ। অত্যাচারের শিকার সোনালী খাতুন বর্তমানে ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তাঁর ঘাড়ের শিরা-উপশিরা ছিড়ে গেছে। সোনালী খাতুন ঝিনাইদহ পৌর এলাকার গোয়ালবাড়ি কাস্টসাগরা গ্রামের গোলাম রসুলের মেয়ে ও সদরের পাগলাকানাই ইউনিয়নের বানিয়াকান্দর গ্রামের আব্দুল হালিমের স্ত্রী। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় দায়ের করা অভিযোগে সোনালীর চাচা আনিচুর রহমান উল্লেখ করেছেন, ৮ বছর আগে দুই লাখ টাকার দেন মহরে বানিয়াকান্দর গ্রামের নোয়াব আলীর ছেলে আব্দুল হালিমের সঙ্গে বিয়ে হয় সোনালীর। বিয়ের পর থেকেই হালিম নানা কারণে তাঁকে মারধর করতো। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হলেই হালিম অকথ্য নির্যাতন করতো। সঙ্গে শাশুড়ি ময়না বেগম ও দাদা শুশুর আনোয়ার হোসেনও যোগ দিত। পরিবারের সবাই সোনালীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় হতাশ হয়ে পড়ে সোনালী। স্বামীর উপর রাগ করে সে একবার পিতার বাড়িতে চলে আসলে সোনালীকে তাঁর স্বমী আব্দুল হালিম রাতের আঁধারে এসিড ছুড়ে হত্যার চেষ্টা করে। গ্রাম্য মাতুব্বরদের মধ্যস্থতা ও ৬ বছরের একমাত্র ছেলে সায়মুনের দিকে তাকিয়ে আবার স্বামীর সংসারে ফিরে যায় সোনালী। গত ৬ এপ্রিল স্বামীসহ তাঁর পরিবারের লোকজন জোটবদ্ধভাবে যৌতুকের জন্য সোনালীর উপর নির্যাতন করতে থাকে। সোনালীর কোল থেকে তার সন্তান সায়মুনকে কেড়ে নিয়ে নানা বাড়ি গোয়ালবাড়ি কাস্টসাগড়ায় পাঠিয়ে দেয়। সোনালীও অপমান অপদস্ত হয়ে পিতার বাড়ি চলে আসে এবং ঘটনার দিন ঘরের আড়ার সঙ্গে গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পেরে সোনালীকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোনালীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে তাঁকে সেখান থেকে গত বধবার তাঁকে ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এখনও সোনালীর অবস্থা আশংকাজনক বলে তাঁর পিতা গোলাম রসুল জানন। সোনালীর চাচা আনিচুর রহমান জানান, আমরা এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখনো কোন পদক্ষেপের কথা জানতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


কমেন্ট বক্স
notebook

১০ পুলিশ সুপারকে অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি