দর্শনায় শতবর্ষী মায়ের ওপর সন্তানদের নির্যাতন
- আপলোড তারিখঃ ২৫-০৩-২০২১ ইং
ওয়াসিম রয়েল:
বাড়িতে আটকে রেখে প্রতিদিনই জোরপূর্বক ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়, না খেলে শারিরীক নির্যাতন করা হয়। অবশেষে রাতে অন্ধকারে ঘুমন্ত অবস্থায় রান্নাঘরে রেখে আসে। এমনই অভিযোগ তুলেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন নবগঠিত নিহালপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের বসতিপাড়ায়। আট সন্তানের জননী নহোরণ নেছা ১০২ বয়সে সন্তানদের বোঝা হয়ে উঠেছেন।
জানা যায়, বৃদ্ধা নহোরণ নেছা দীর্ঘদিন যাবৎ তার চতুর্থ ছেলে আব্দুল হান্নানের কাছে থাকে আর মাঝে মধ্যে তাঁর বড় মেয়ে আনোয়ারা বেগম তার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং কিছুদিন রাখেন। এরই মধ্যে গত ১৩ মার্চ পারিবারিক সমস্যার কারনে নগোরণের ছোট ছেলে সালামের বাড়িতে দিয়ে আসেন চতুর্থ ছেলে আব্দুল হান্নান। তবে সেখানে তাঁর বাড়িতে নিজ প্রয়োজন ছাড়া সবসময় বাড়ির গেট বন্ধ করে রাখা হয়। যার কারণে অন্য ছেলেরা মায়ের খোঁজখবর নিতে চেষ্টা করলেও পারেন না। পরে ৪-৫ দিন কেটে গেলে অন্য ছেলে মেয়েরা বাড়ির প্রতিবেশীদের কাছে জানতে পারে প্রতিদিন ঘুমের বড়ি খাওয়ানোসহ নির্যাতনের কথা।
এদিকে, নহোরণ নেছার বড়মেয়ে আনোয়ারা বেগম বৃদ্ধা মাকে দেখতে গেলে তিনি নিজের ওপর নির্যাতণের কথা সব খুলে বলে মেয়ের কাছে। ছেলের ওপর অভিযোগ তুলে নহোরণ নেছা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমাকে বাঁচাও। এখানে থাকলে আমার ছোট ছেলে আব্দুস সালাম ও তাঁর স্ত্রীর রেশমা আমাকে মেরে ফেলবে। আমার আদরের ছোট ছেলের কাছে আমি অনেক ভারি হয়ে গিয়েছি। এরা আমাকে প্রতিদিন জোরকরে ঘুমের ওষুধ খাওয়াইয়ে রান্নাঘরে ফেলে রাখে। ঠিক ভাবে খেতে পর্যন্ত দেই না। আমি বয়স্ক মানুষ। ক্ষুধা লাগলে খাবার চাইলে শুধু পানি দিয়ে যায়। নহোরণ নেছা আরও বলেন ৬ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তানের জন্ম দিয়ে বুকে আগলে রেখে লালন-পালন করেছি। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের কষ্টের কথা কখনো মনে করেনি। আজ সেই সন্তানদের কাছে আমি অনেক বড় বোঝা হয়ে গিয়েছি।’
কমেন্ট বক্স