মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

পণ্যবাহী আলমসাধু নছিমন করিমন চলাচলে পুলিশি বাঁধায়:চুয়াডাঙ্গার পাইকারী ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তিতে

  • আপলোড তারিখঃ ০১-০৪-২০১৭ ইং
পণ্যবাহী আলমসাধু নছিমন করিমন চলাচলে পুলিশি বাঁধায়:চুয়াডাঙ্গার পাইকারী ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তিতে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বানিজ্যিক এলাকা ফেরীঘাট রোডের পাইকারী ব্যবসায়ীরা পণ্য পরিবহণ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। মূল সড়কে আলমসাধু, নছিমন, করিমন চলাচলে পুলিশি নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল পরিবহণ করতে না পারায় এই ভোগান্তির কারণ বলে জানা গেছে। সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা জেলায় বেশ কয়েকটি সড়ক দূর্ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবহণ মালিক শ্রমিক জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে মূল সড়কে সকল প্রকার অবৈধ যান চলাচল বন্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিলে এই সংকটের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে গতকাল চুয়াডাঙ্গার পাইকারী ব্যবসায়ীরা জেলা দোকান মালিক সমিতি ও পরিবেশক সমিতির কাছে তাদের এই সমস্যা নিরসনে অতিদ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণে দাবি জানিয়েছে। পাইকারী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চুয়াডাঙ্গা ছাড়া পার্শ্ববর্তী কোনো জেলায় পণ্যবাহী আলমসাধু, নছিমন, করিমন আটক করা হচ্ছে না। অথচ হঠাৎ করে চুয়াডাঙ্গায় এ সকল পণ্যবাহী যান মূল সড়কে চলাচলে পুলিশি বাঁধার কারণে তাদের ব্যবসা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দূরদুরান্ত থেকে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল কিনে গন্তব্যে পৌঁছাতে গিয়ে পরিবহণ সংকটে পড়ে চুয়াডাঙ্গার মোকাম ছেড়ে পার্শ্ববর্তী জেলার মোকামে চলে যাচ্ছেন। পাইকারী ব্যবসায়ীরা অবিলম্বে এই পরিবহণ সংকট নিরসনে পণ্যবাহী আলমসাধু, নসিমন ও করিমন মূল সড়কে চলাচলে অনুমতি দিতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন সাংবাদিকদের জানান, সাধারণ ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে অভিযোগে তাদের সমস্যা ও দাবির কথা জানিয়েছেন। আমরা পুলিশ সুপারের সাথে বিষয়টি নিয়ে বসবো। তার আগে আমরা নিজেদের মধ্যে একটা প্রস্তুতি সভা করবো। বিস্তারিত পরে সাংবাদিকদের জানানো হবে। এ বিষয়ে জেলা পরিবেশক সমিতির সভাপতি হাজি সালাউদ্দীন চান্নু সাংবাদিকদের জানান, আমরা সাধারণ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ও দাবি শুনেছি। নেতৃবৃন্দের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমাদের ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে পুলিশ প্রশাসনের উচিৎ পন্যবাহী আলমসাধু, নসিমন ও করিমনগুলো সড়কে চলাচল করতে দেওয়া। পুলিশ যদি আমাদের সমস্যা বিবেচনায় না আনে তাহলে আমরা এ বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সমাধান খুঁজতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবো।  এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন বলেন, শহরসহ মূল সড়কে কোনো প্রকার অবৈধযান চলাচল করতে দেওয়া হবে না। ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনে আলমসাধু, নছিমন, করিমনের বিকল্প পরিবহণ হিসেবে মিনি ট্রাক, পিকআপ বা অন্যকোনো বৈধযান ব্যবহার করতে পারেন।


কমেন্ট বক্স
notebook

দেশের কোনো নাগরিকেরই এখন দুটি এনআইডি কার্ড নেই: ডিজি