চুয়াডাঙ্গায় মধু মালিথা মার্ডারের ঘটনায় এসআই ভবতোষের অভিযান
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদরের হায়দারপুরে নবগঙ্গা খাল খননকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে মধু মালিথা নিহতের ঘটনায় সাতগাড়ির খালিদ মণ্ডলসহ আরও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সাতগাড়ীর বিশারত মণ্ডলের ছেলে খালিদ হোসেন (৩০), গোপিনাথপুর গ্রামের সাত্তারের ছেলে সালাম (৩২), একই এলাকার মিরাজের ছেলে ইনামুল হক (৩২), খেজুরা গ্রামের মৃত হিম্মত আলীর ছেলে রাব্বি হোসেন (৩০), সাজুর ছেলে জুয়েল (২৫), টেংরার ছেলে মোমিনুল ইসলাম (২৮), তুফার ছেলে সোহানসহ একই এলাকার গেদা (৩০)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভবতোষ রায় ফোর্স নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মধু মালিতা হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় ৮ আসামিকে গ্রেপ্তার করেন। গতকাল দুপুরের পর গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাঁদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ নিয়ে মধু মালিথা হত্যার ঘটনায় মোট ১৭ জনকে আটক করেছে সদর থানার পুলিশ।

প্রসঙ্গত, চুয়াডাঙ্গা সদরের হায়দারপুরের নবগঙ্গা খাল খননকে কেন্দ্র করে খালের দুই পাড়ের জমির মালিকদের মধে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে গত ৩ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে হায়দারপুর বুচতলা নামকস্থানে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ওই ঘটনায় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একই এলাকার মৃত শুকুর আলীর দুই ছেলে মধু মালিথা, তাঁর ভাই জদু মালিথাসহ একই এলাকার মৃত শমসের আলীর ছেলে রেজাউল হক গুরুতর জখম হন। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে মধু মালিথার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে রেফার্ড করেন। পরদিন চিকিৎসারত অবস্থায় মধু মালিথার মৃত্যু হয়। পরে ওই মামলায় ৯জনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকিরা পলাতক ছিলেন। গতকাল পলাতক ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে সদর থানার পুলিশ।